ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এই তথাকথিত “নির্বাচন” আসলে একটি রাজনৈতিক প্রহসন, এক ধরনের জাতির সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। যেভাবে তিনি ‘ভোট’ নামের এই নাটক সাজাচ্ছেন, তাতে মনে হয় এটি একটি ‘এপ্রিল ফুল’ ছাড়া কিছু না।
এটি কোনো গণতান্ত্রিক উদ্যোগ নয়, বরং ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার এক গভীর ষড়যন্ত্র। দেশের ভেতরে ও বাইরে চাপ সামাল দিয়ে নিজেকে বৈধ প্রমাণের একটি হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছেন তিনি এই তথাকথিত নির্বাচনের ঘোষণা।
প্রশ্ন জাগে কাদের নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস? দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহৎ রাজনৈতিক জোট আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় মহাজোটকে বাইরে রেখে কি কখনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়? তিনি জানেন, জনগণ তাঁকে গ্রহণ করেনি, প্রশাসনের ভেতরেও তাঁর অবস্থান অস্বীকৃত। তাই এই নির্বাচনের প্রচেষ্টা মূলত একটি ‘আন্তর্জাতিক প্রদর্শন’ যাতে তিনি দেখাতে পারেন যে “নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছি”
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজন সহনীয় রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অথচ দেশের বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাস, মব-গোষ্ঠী, চাঁদাবাজদের দাপট বেড়েছে। প্রশাসন অকার্যকর, পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ রাস্তায় হাঁটতেও আতঙ্কে থাকে।
এমন বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠে ভোট কিভাবে হবে? কাকে ভোট দেবে জনগণ? কার ওপর ভরসা করবে তারা?
বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বড় একটি অংশ মনে মনে এই তথাকথিত সরকারের প্রতি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। তাঁরা জানেন, এই সরকার অবৈধভাবে সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে গঠিত হয়েছে। মাঠ প্রশাসন, সচিবালয় এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অভ্যন্তরীণভাবে অনাস্থা প্রকাশ করছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের প্রশাসনিক ভিত্তি যে ভেঙে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
জনগণকে বোকা ভাবার দুর্ভাগ্যজনক প্রয়াস
ড. ইউনূসের কথাবার্তায় এমন সুর ফুটে ওঠে যেন বাংলাদেশের জনগণ কিছুই বোঝে না। কিন্তু এই জাতি ১৯৭১ দেখেছে, ৭৫-এর চক্রান্ত চিনেছে, ১৯৯০-এ স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নেমেছে এবং ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখোশ উন্মোচন করেছে। এই জাতি ষড়যন্ত্র বুঝে, চক্রান্তকারীদের চিনে, এবং সময় হলে জবাব দিতেও জানে।
ড. ইউনূস ক্ষমতায় বসেই একের পর এক বিতর্কিত ও দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের হয়রানি, শ্রমিকদের চাকরি হারানো, উৎপাদন খাত ধ্বংস, গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া, বিদেশি স্বার্থে গোপন চুক্তি এসবই প্রমাণ করে তিনি জাতীয় স্বার্থ নয়, বিদেশি প্রভুদের খুশি রাখতেই ব্যস্ত। এতে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।
*দেশের মানুষ এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, ইউনুসের পক্ষপাত মূলক নির্বাচন প্রতিহত করবে, স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি।*
এখন সময় এসেছে জাতিকে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের উচিত এখনই কলম ধরা, প্রতিবাদী হওয়া, মাঠে নামা।(আওয়ামীলীগ পেইজ)