পদ্মা সেতু। শুধু একটি অবকাঠামো নয়, বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয়। উদ্বোধনের ৩ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আপনারা যে মূল সেতু টা দেখতে পান সেটা নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু অনেকেই মনে করেন শুধু সেতু নির্মাণ করতেই ৩২ হাজার কোটি খরচ হয়েছে। যে খাতে যত খরচ হয়েছে-
* পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় মোট ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২১ হেক্টর জমি। যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা।
* সেতুর পাশ দিয়ে ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন আছে, সেখানে খরচ ১ হাজার কোটি টাকা।
* মূল সেতুর রেললাইনের পাশ দিয়ে গ্যাস লাইন টানা হয়েছে। এই গ্যাস লাইন নির্মাণে খরচ হচ্ছে আর ৩০০ কোটি টাকা।
* পদ্মাসেতুর উপরে-নিচে প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদী শাসন করা হয়েছে। এই কাজ করছে চীনের কোম্পানি সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড। এখানে খরচ হেয়ছে ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
* পদ্মা সেতুকে দুই অংশের মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নির্মিত হয়েছে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপ্রোচ রোড বা সংযোগ সড়ক। সেখানে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।
* সার্ভিস এরিয়া-২ ও ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিম, জলযান ক্রয় চুক্তি মূল্য বাবদ ৩৫২ কোটি টাকা, কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট-১ বাবদ চুড়ান্ত কিস্তি পর্যন্ত ব্যয় ৮৯ কোটি টাকা, কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট-২ বাবদ চুক্তিমূল্য ৬০৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
* পুনর্বাসন। পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে ওই এলাকায় বসবাসরতদের অনেককে বাড়িঘর ত্যাগ করতে হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর তিন জেলার ২২ হাজার ৫৯৩ উপকারভোগীর মাঝে ৭৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো টাকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দেয় অর্থ বিভাগ। অর্থাৎ নিজ অর্থায়নে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা সরকার।
আমরা পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে এমন গল্প বিএনপি-জামায়াতের মুখে শুনে থাকলেও দেখা গেছে সেতু প্রকল্পে বাজেটের চেয়ে সাশ্রয় হয়ে়ছে ১ হাজার ৮ শ কোটি টাকা। (সোর্স: ফেইসবুক, সেভন্তী)