” জুলাই মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু” বইয়ের লেখক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক।আসিফ মাহমুদের জন্ম ১৯৯৮ সালে এবং তার পরিচয় তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা। শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যাগে একে – ৪৭ এর ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে।
মরোক্কোর মারাকেশে ” ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল পোগ্রামে” যোগ দিতে টার্কিশ এয়ারলাইনসের টিকে -৭১৩ ফ্লাইটে তুরস্ক হয়ে মরক্কো যাচ্ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ।
পথিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার ব্যাগ তালাশি করলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন এসএম রাগিব সামাদ।বিষয়টি যে সত্য এই বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজেও তার ফেসবুক পোস্টে স্বীকার করেছেন।
বর্তমান বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জুলাই অভূত্থানকে একটি জ-ঙ্গী অভূত্থান বলে চিহ্নিত করেছেন। জুলাই আন্দোলনে নিহতদের তালিকায় আন্দোলনের মূল পয়েন্ট বুয়েট , ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনও নাই দেখে অবাক হচ্ছেন। চলুন আরেকটু পেছনে যাই।
জুলাই আন্দোলন ও সরকার পতন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছিলেন, ” জুলাইয়ে শেখ হাসিনার পতন না হলে তাদের স্বশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি ছিল!” প্রশ্ন হচ্ছে , এই প্রশিক্ষণ তারা কোথায় পেয়েছিলেন ?
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার জন্ম কুমিল্লার মুরাদনগরে, জন্ম ১৪ ই জুলাই, ১৯৯৮সাল । জন্ম সাল অনুযায়ী তার বয়স এখনও ২৭ বছর হয়নি। তার বাবা পেশায় একজন সাধারণ শিক্ষক।ছেলে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আর তার বাবাই সেই মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদার! এই জঘন্য কাজ করে বাবা ও পুত্র দু’জনেই বাংলাদেশকে চমকে দিয়েছিলেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন কারণে গোমর ফাঁস হয়ে গেলে আসিফ মাহমুদ তার বাবার পক্ষে ক্ষমা চান। যেমন বাবা তেমন তার ছেলে অর্থাৎ দু’জনেই মিথ্যা ও ভন্ড। উপদেষ্টা আসিফের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের মাত্র কয়েক মাসে শত কোটি টাকার দুর্নীতি এখন বাংলাদেশের কারোই অজানা নয়। এত এত অপরাধের পরও এই মহাশক্তিধর উপদেষ্টা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বহাল থাকেন কীভাবে? বাংলাদেশের জনগণ সবাই কি মুখে কলা আর হাতে চুড়ি পরে বসে আছে? খুব জানতে ইচ্ছে করে , এত ভন্ডামির পরও ভন্ডকে মাথায় তুলে মানুষ কীভাবে নাচে?
২০১৪ সালে ” নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন” এর নামে একদল ছাত্রের ব্যাগে চাপাতি পাওয়ার তথ্য আপনারা নিশ্চয়ই এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাননি। তখন আসিফের বয়স ১৬ বছর। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধীরে ধীরে ডালপালা মেলতে শুরু করে ” কিশোর গ্যাং” । কিশোর গ্যাং ও জুলাই আন্দোলন নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো।এরপর ধীরে ধীরে ২০১৫ সালে গান পাউডার দিয়ে বাসে মানুষ পুড়িয়ে মারা , ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়া , হোলি আর্টিজানের নৃশংস জ-ঙ্গী হামলা এসব নিশ্চয়ই আপনারা এখনো ভুলে যাননি। বাংলাদেশের ভেতরে আইএস ও আল কায়েদা আছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি ভুলে গেছেন। এসব কানেকশন ও আসিফ মাহমুদ নিয়ে আলফ্রেড নোবেল লিখবে।।
২০২৩ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে রাজনীতি শুরু হয় আসিফ মাহমুদের।২০২৩ সালে ছাত্র অধিকার থেকে বের হয়ে গড়ে তুলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহবায়ক হন। সরকারের বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র যুদ্ধ করতে চাওয়া, বিটিভি ভবন , সেতু ভবন মুহুর্তে গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া এসব দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পিত পরিকল্পনা ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়।এই পরিকল্পিত জ-ঙ্গী ষড়যন্ত্রের সফল উত্থান হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ ই আগষ্ট। ক্ষমতা পেয়েই উপাধি পেলেন হেলিকপ্টার আসিফ। হেলিকপ্টার আসিফ উপাধি শেষ না হতেই ডিসেম্বরে এত উপদেষ্টার অফিস থাকতে নাহিদ ও আসিফের মন্ত্রণালয় পুড়ে যাওয়ার কথা মনে আছে কী আপনাদের? ইঁদুর , বিড়াল কিছুই ঢুকলো না, অথচ পুড়ে গেল দুই উপদেষ্টার সকল অপকর্মের প্রমাণ ও নথি।জ্বী হ্যাঁ, দু’জনেই কিন্তু জুলাইয়ে স্বশস্ত্র যুদ্ধের কথা বলেছেন।। হঠাৎ আবার আলোচনায় গুলিভর্তি ম্যাগাজিন , বিমান বন্দর ও আসিফ!!
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রউফের এত দহরমমহরম কেন ছিল জানেন? গানের স্টেজে , গোপন বৈঠকে সব জায়গায় ছিল পাকিস্তানের হাইকমিশনার রউফ ও আসিফ মাহমুদ। তা পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের রহস্যজনক ঢাকা ত্যাগ আপনাদের মনে কি কোন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিলো? ভারতের সেনাপ্রধান ত্রিবেদী বাংলাদেশের লালমনিরহাটে পাকিস্তানের আইএসআই কর্মকর্তাদের একটি গোপন বৈঠকের কথা ফাঁস করে দেওয়ার পরপর পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফকে পাকিস্তানে রহস্যজনকভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
এতদিনে আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন যে জুলাই অভূত্থান ছিল পাকিস্তানী আইএসআই ও আমেরিকার মেটিকুলাস প্লান।২০১৮ সাল থেকেই শেখ হাসিনার পতনের আমেরিকার পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ” অপারেশন বিডি” প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন ইউনূস , আসিফ ও নাহিদের ছাত্রশিবিরের আপডেট ভার্সন ও জ-ঙ্গী সংগঠন আইএসের আদলে গড়ে তোলা গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি ও জামায়াতে ইসলাম। বাংলাদেশের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আরাকান ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আরসার একজন প্রধান ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন , ” জুলাই আন্দোলনে দেড় লাখ আরসা জ-ঙ্গী সহিংসতার জন্য আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল, না হলে জুলাই কখনোই সফল হতো না। জ-ঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের নেতা মাহফুজের সাথে এদের সম্পর্ক, প্রকাশ্য রাস্তায় আইএস ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মিছিল এসব এদের জ-ঙ্গী কানেকশনের একটি আলামত মাত্র। পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার সমাবেশে আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর – ই – তৈয়বার নেতা মোজাম্মিল হাজমি তার বক্তৃতায় স্পষ্ট করে বাংলাদেশের জুলাই আগষ্টের জ-ঙ্গি অভ্যুত্থানে লস্কর ই তৈয়বার সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। মাত্র দেড় বছরের মাথায় কেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার রউফকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল? চট্টগ্রামে কুকি-চিনের জন্য তৈরি হওয়া হাজার হাজার পোশাক এসব ভুলে গেছেন?
কুকি – চিনের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে ওরা জঙ্গীদের থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতো। আরসা জ-ঙ্গী , লস্কর -ই-তৈয়বা ও জইশ – ই মুহাম্মদের নিষিদ্ধ সব জঙ্গীদের মাধ্যমে এইভাবেই জুলাই যোদ্ধাদের একটা বড় অংশ অবৈধ অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষিত হয়েছে। আসিফ মাহমুদের ব্যাগে পাওয়া বুলেট ম্যাগাজিন এর একটি উদাহরণ মাত্র।।
জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে ৭.৬২ বুলেট। আপনাদের হয়তো অনেকেই জানেন না, একে -৪৭ এর রাইফেলে বুলেট হিসেবে ৭.৬২ বুলেট ব্যবহার করা হয়। আসিফ মাহমুদের সেই বুলেট পরীক্ষার আগেই তড়িঘড়ি করে প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রেশার দিয়ে নিউজ পর্যন্ত গায়েব করে দেওয়া হয়। ছাত্র আন্দোলন, মেটিকুলাস ডিজাইন সব নিশ্চয়ই একটু একটু করে বুঝে আসতে শুরু করেছে আপনাদের।।
অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য বয়স নূন্যতম ত্রিশ বছর , বছরে দুই লক্ষ টাকার আয়কর এসব কোন আইন খাটেনি মহাশক্তিধর কুলদে আসিফ মাহমুদের ক্ষেত্রে।১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইন , ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন কোনকিছুই মানার প্রয়োজনও হয়নি আসিফ মাহমুদের।কারণ আসিফ মাহমুদের ব্যাগে যে বুলেট পাওয়া গেছে তাই হচ্ছে জুলাই আন্দোলনে ব্যবহৃত বুলেট।আসিফ মাহমুদের বয়স অনুযায়ী তার অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই। আসিফ মাহমুদের কোন অস্ত্রের লাইসেন্স নেই।।এসব একে -৪৭ এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভাষায় পিস্তলের লাইসেন্স হয়ে গেছে! এক খবর কতবার পাল্টাবেন জনাব? এই সব অবৈধ অস্ত্র সমুদ্র পথে বাংলাদেশ এসেছে।পাকিস্তানের দারা আদম খেল হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীতে খোলা অস্ত্রের সর্ববৃহৎ অস্ত্রের বাজার।এম ১৬ থেকে শুরু করে একে -৪৭ সব পাইকারি দামে বিক্রি হয়। যার ফলে এর জন্য দুই লাখ টাকার আয়কর ও বয়স কিছুই লাগেনি আসিফ মাহমুদের।।
১৯৫৩ সালের ২৬ শে জুলাই কিউবার স্বৈরশাসক ফুলগেন্সিও বাতিস্তার পতনের ফিদেল কাস্ত্রোর ২৬ শে জুলাই বিপ্লব আর বাংলাদেশের ৩৬ শে জুলাই এক কথা নয়।বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর বিপরীতে এই আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া হচ্ছেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংগঠিত জ-ঙ্গী আন্দোলনের নেতা।জুলাই কখনোই বিপ্লব ছিলো না, জুলাই ছিল একটি জ-ঙ্গী অভূত্থান। বিভিন্ন জুলাই বিপ্লবীদের এইভাবে তল্লাশি করলে আরও ৭.৬২ বুলেট ও একে -৪৭ গল্পের মুখোশ উন্মোচিত হতে থাকবে । ১৭.৫ কোটি মানুষকে ভোদাই বানানোর নাটক আসিফ মাহমুদ হয়তো আর কয়দিন পরেই বলবেন , যেটা পাওয়া গেছে সেটা ছিল খেলনা পিস্তল! ” এসবে আর কোন লাভ হবে না। জাতি যা জানার তা এতক্ষণে আয়নার মতো জেনে গেছে।।” জুলাই মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু” গল্পের নায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একজন দূর্নীতিবাজ , অস্ত্র ব্যবসায়ী, বাটপার , প্রতারক , ভন্ড ও জ-ঙ্গী ছাড়া আর কিছুই নয়।।
সত্য সবসময় সুন্দর।
।। লুসিড ড্রিম এক্টিভিস্ট গ্রুপ।।