জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলায় অবৈধ ও বেআইনিভাবে ছয় মাসের কারো দন্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছে।
এই মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলায় আইন ও ন্যায় বিচারের সকল রীতিনীতি ও নজির লঙ্ঘন করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক তথাকথিত অন্তর্বর্তী জঙ্গি সরকার কর্তৃক গঠিত ট্রাইবুনাল একতরফাভাবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এ অবৈধ ও বেআইনি কারাদন্ড দেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালত অঙ্গনে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা আর ঘটে নি। খুনি ইউনূসের জঙ্গিগোষ্ঠী দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার যে ভূলুণ্ঠিত করেছে, দেশে বিচারের নামে যে প্রহসন ও ‘বিচারিক সন্ত্রাস’ চলছে, এই ঘটনা সেটিই প্রমাণ করে। এই ঘটনা পুরনো ক্যাঙ্গারু কোর্ট মডেলকেও হার মানিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে কথিত টেলিফোন কথোপকথনে একটি মন্তব্য উল্লেখ করে ৩০ এপ্রিল ট্রাইবুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে। ট্রাইবুনাল কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে এই অভিযোগ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার নিযুক্ত কোন আইনজীবীর বক্তব্য তারা শুনেনি এবং শোনার সুযোগ দেয়নি। বরং বিদেশে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে প্রহসনমূলকভাবে ২৫ শে মে ট্রাইবুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। আর আজ তাকে কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বিনা শুনানিতে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
বাংলাদেশের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমে যেকোন ফৌজদারি মামলায় অপরাধ শতভাগ প্রমাণিত না হলে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আমাদের অপরাধ আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে “every crime has to be proved beyond any reasonable shadow of doubt’ অর্থাৎ সন্দেহের যেকোনো যুক্তিসঙ্গত ছায়ার ঊর্ধ্বে অপরাধ প্রমাণ করতে হয়। এছাড়া, ট্রাইবুনাল আইনের যে বিধানের উল্লেখ করে এই দন্ড দেয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনভাবেই এই বিধান লংঘন করেননি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, বর্তমানে দেশে সর্বত্র মব সন্ত্রাসের যে দৌরাত্ম চলছে, তারই অংশ হিসেবে খুনি ইউনূসের জঙ্গি গোষ্ঠীর নির্দেশে একইভাবে দেশে বিচারিক সন্ত্রাস ও প্রহসন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রহসনমূলকভাবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একতরফা ভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। আমরা মনে করি, খুনি ইউনুসের এই জঙ্গি অন্তবর্তী সরকার দেশকে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে জনগণ ফুসে উঠছে। দেশের সকল বিবেকবান মানুষের কাছে আমাদের আহ্বান, এই অন্যায়, অবিচার এবং আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হোন। পাশাপাশি, বিশ্ব বিবেকের কাছেও আমাদের একই আহ্বান। আমাদের বিশ্বাস, দেশের জনগণ এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের জনগণকে নিয়ে আমরা দেশ ধ্বংসকারী এই খুনি চক্র, জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিহত করব ইনশাল্লাহ।