গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মব সন্ত্রাস, এমনটাই মনে করেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
তিনি বলেছেন, এক বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মব কালচার। আমরা এটা আগে পাইনি, এভাবে দেখিনি। এক বছরে মব কালচারকে আমরা এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছি, যেন এটা একটা ‘বৈধ কাজ’।
ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত মবের ঘটনা তুলে ধরে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদ বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এমন মন্তব্য করেন।
মব সন্ত্রাসের ঘটনায় কোনো শাস্তি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মাসুদ কামাল বলেন, মবের কোনো শাস্তি হচ্ছে না, মব ভায়োলেন্সের কোনো শাস্তি দেখাতে পারবেন না, এগুলো সব বৈধ। এ মব কালচারের একটা বিপজ্জনক দিক আছে, এটা ভয়ঙ্কর।
তিনি আরও বলেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, ৪-৫টা ছেলে তাকে স্বৈরাচারের দোসর, ফ্যাসিবাদের দোসর বলে উত্তম-মধ্যম দেওয়া শুরু করল, কেউ তাকে বাঁচাতে যাবে না। যে যাবে সেও চিন্তা করবে আমি তো উল্টো মারধরের শিকার হতে পারি। পুলিশ পাশ দিয়ে হাঁটবে, কিন্তু তাকে ফেরানোর চেষ্টাও করবে না। কারণ, ফেরাতে গেলে তাকে ক্লোজ করা হবে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদাকে শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছিত এবং গলায় জুতার মালা পরানোর সময় দর্শকের ভূমিকায় পুলিশের নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনাটি উল্লেখ করে সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, নুরুল হুদা সাহেরের মবের যে ভিডিও আমরা দেখলাম, সেখানে দেখা গেল, পুলিশের এক সদস্য নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়েছিলেন। মবকে থামানোর চেষ্টাও করেন নাই।
কিন্তু তার যে ট্রেনিং ছিল, সেটা কি তাকে থামাতে বলে নাই? বলেছে, তারপর সে করে নাই কেন? করবে না–– কারণ সে ভাববে আমার জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? কারো জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই। এখন এসব যারা উৎসাহ দিচ্ছে, আলটিমেটলি তাদের কপালে কী আছে জানি না, বলেন তিনি।