বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে প্রতিদিন রাত নামলেই নামে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক। এ আতঙ্ক কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় এটা দেশের মাটিতেই জন্ম নেওয়া, অথচ দেশের অস্তিত্ববিরোধী এক ষড়যন্ত্রের প্রতিচ্ছবি। গ্রামের পর গ্রাম এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে, যেখানে লক্ষ্য একটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের ঘরবাড়ি ভাঙা, লুট করা, নারী-শিশুকে নির্যাতন করা এবং আতঙ্কে দেশপ্রেমিকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া।
বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান পরিবারগুলো আজ ঘুমাতে ভয় পায়। রাত হলেই মেয়েদের উপর চালানো হয় জোরপূর্বক ধর্ষণ, ঘরবাড়ি লুট হয়, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই বর্বরতা চলে সংগঠিতভাবে, আর এর পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামাত-এনসিপির অশুভ জোট। এদের লক্ষ্য একটাই—বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস মুছে দেওয়া, জাতির পিতাকে বিতর্কিত করা, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।
সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো প্রশাসন নীরব। মিডিয়া নীরব। স্থানীয় প্রশাসন কোথাও কোথাও যেন এসব বর্বরতাকে মৌন অনুমোদন দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ আসছে ঘটনার পরে, কিংবা হামলাকারীদের ধরার পরিবর্তে ভুক্তভোগীদেরই ভয় দেখাচ্ছে।
সংখ্যালঘু নারী ও কিশোরীদের উপর যে ভয়ঙ্কর সহিংসতা চলছে, তা জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক মহল তো দূরের কথা, দেশের জাতীয় মিডিয়াতেও ঠাঁই পাচ্ছে না। কেন? এই চক্রান্তের নেপথ্যে কারা? কে বা কারা চায় দেশকে আবার ১৯৭১-এর আগের পাকিস্তানি ধাঁচে ফেরাতে?
এই মুহূর্তে জাতিকে সচেতন হতে হবে।
এই মুহূর্তে প্রয়োজন
🔺 জিরো টলারেন্স নীতি সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধপন্থী নাগরিকদের উপর সহিংসতায় সম্পৃক্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
🔺 নারী ও কিশোরী সুরক্ষা ইউনিট সংখ্যালঘু গ্রামগুলিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিশেষ দল গঠন।
🔺 প্রশাসনিক জবাবদিহি নীরব পুলিশ বা সহযোগিতাকারী কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা।
🔺 মিডিয়া দায়বদ্ধতা জাতীয় গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।
🔺 প্রতিরোধ কমিটি প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধপন্থী মানুষদের নিয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এই বর্বরতা থামাতে না পারলে শুধু একটি দলের ক্ষতি হবে না ক্ষতিগ্রস্ত হবে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, পরিচয় ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বকে এখনই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই হামলা দেশপ্রেমিকদের উপর নয়, বরং জাতির অস্তিত্বের উপর।
*মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ একা নয় আমরা আছি, থাকব, এবং প্রতিরোধ গড়ব।*
(মাস্ট ইউনুস গো টিম)