।। প্রত্যয় ইসলাম।।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ঘটনা হলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা অর্জনের পরও ১৯৭২ থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত—এমন কোনো দিন নেই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথ ছেড়েছে, হোক তা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বা না থাকা অবস্থায়।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখতে পারবেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যারা তাদের দাবি আদায় ও আন্দোলন রাজপথে থেকেই আদায় করতে জানে। শান্তিতে, সমরে, অমর অক্ষয় গতিতে আওয়ামী লীগ তার গতিপথে এগিয়ে যেতে জানে।
সমুদ্রে যখন ঝড় আসে তখন বন্দরে থাকা বড় বড় জাহাজগুলোকে বন্দর ছেড়ে মাঝসমুদ্রে অবস্থান নিতে হয়। কারণ তীব্র ঝড়ের কারণে যে বড় বড় ঢেউ তৈরি হয়, তা বন্দরে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। ঠিক সেইভাবেই আজকে আওয়ামী লীগ মাঝসমুদ্রে অবস্থান করছে। ঝড় একটু থেমে গেলে, বন্দর কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিতে অর্থাত জনগণের ইশারায় এই আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে।
দিনশেষে কথা একটাই—একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু যেভাবে তার মাতৃকোলে নিরাপদ, ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামীলীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিরাপদ।
১০ মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি হলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য নয়, বরং জনগণকে তার সর্বোচ্চ অধিকার উজাড় করে দেওয়ার জন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন—
“আমি আমার ভাইয়ের লাশের ওপর পা দিয়ে আরটিসিতে বসতে চাই না।”
ঠিক তেমনি, যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা নেত্রী শেখ হাসিনা লাশের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাননি।
আরেকটি কথা,৫-ই আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতন হয়নি। যা ক্ষতি হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের। ক্ষতি হয়েছে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ এর ইতিহাসের। অপমানিত হয়েছে ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত।
কেউ যদি বলে চিলে কান নিয়ে গেছে, তাহলে চিলের পেছনে দৌঁড়াবেন না। আগে বুঝুন, তারপর বলুন। কোনো বিষয় বোধগম্য না হলে দয়া করে চুপ থাকুন, এরপরও স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে দেশটা তুলে দিবেন না।
লিখায় : মুজিব আদর্শের সৈনিক