গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে সাধারণ মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার রাতে দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোপালগঞ্জে যে নির্মম, বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তা অবৈধ ফ্যাসিস্ট ইউনূস ও তার সহযোগী তথাকথিত এনসিপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রেরই অংশ।”
আওয়ামী লীগের ভাষ্য অনুযায়ী, খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস ও তাঁর পৃষ্ঠপোষকরা ‘জুলাই মাসে সারা দেশে ষড়যন্ত্রের পদযাত্রার’ অংশ হিসেবে ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করে। দলটির দাবি, এই ঘোষণার পেছনে ছিল গোপালগঞ্জ আক্রমণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে হামলার ষড়যন্ত্র।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এনসিপির কিছু নেতাকর্মী প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশালীন ও ঘৃণ্য মন্তব্য করে, যা গোপালগঞ্জবাসী মেনে নিতে পারেনি। তারা জাতির পিতার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে প্রতিবাদ মিছিল করে। অথচ সেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জবাবে ‘সরকারি-বেসরকারি সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা’ নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন এবং অনেকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আওয়ামী লীগের অভিযোগ,
“যেখানে গোপালগঞ্জে অতীতে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আক্রমণের নজির নেই, যেখানে কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বিঘ্নে সমাবেশ করে এসেছে, সেখানে আজ এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনসাধারণকে দোষারোপ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনীর এক সদস্যের লাশের উপর বুট দিয়ে পিষ্ট করার দৃশ্য জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গোপালগঞ্জে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। “ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষ তুলে নিয়ে গুম করে ফেলা হচ্ছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য সরাসরি ‘খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংকে’ দায়ী করে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানায়। একইসাথে গোপালগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দলটি বলে, “আপনারা বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি যে ইস্পাতকঠিন সমর্থন প্রদর্শন করেছেন, তা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।”
বিবৃতির শেষে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।