প্রিয় দেশবাসী, সম্বোধন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ভার্চয়াল ভাষণ শুরু করেন। দেশের ক্রান্তিকালের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফ্যাসিবাদী, খুনি, জঙ্গি ইউনুসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। অস্ত্র এবং শক্তি দিয়ে ফ্যাসিস্ট ঠিকে থাকতে পারবে না।দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। অবশ্যই দেশের মানুষ একদিন মু্ক্ত হবে। এ আশাবাদ ব্যক্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সর্বশক্তি দিয়ে দেশকে ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধুর ন্যায় বলতে চাই কেউ ধাবায় রাখতে পারবে না। দেশকে ষড়যন্ত্রকারি ইউনুস যে খাদে নিয়ে গেছে সেখান থেকে উদ্ধার করতে হবে।
জননেত্রী তার শাসনামলের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে বলেন, কৃষক এখন কৃষিঋণ পায় না, ঘুষ দিতে হয়, দুর্নীতিতে দেশ ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কলকারখানা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ইউনুস নিজেই দুর্নীতিবাজ, সে হাজার কোটি টাকা জনগণের মেরে দিয়েছে। তার ওপর দুর্নীতির অসংখ্য মামলা ছিল, তা উঠিয়ে নিয়েছে। দেশের জনগণের ব্যবসা কেড়ে নিয়ে নিজে ব্যবসা করছে।
আমরা দুবোন পিতামাতা হারিয়েও দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে দেশসেবায় জীবণ উতসর্গ করেছি। আমার বোনের মেয়ে টিউলিপ উচ্চশিক্ষিত, ব্রিটিশ রাজনীতিতে সে অত্যন্ত সফল, তাকে মামলা দিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। এতো হিংসাখোর ইউনুস বিশ্বপরিসরে সুনামের সাথে কাজকরা আমার মেয়ে পুতুলকেও হয়রানি করছে।
এতো গেল আমার পরিবারের কথা। সারা দেশে আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে তার পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে। খুন করছে নেতাকর্মীকে। নেতাকে না-পেলে তার ভাইকে,বাপকে, না-হয় স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এতো অপমাণিত হচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, অপশাসন, দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজকে ২০ জুলাই দেশব্যাপী আমার আহবানে আপনারা সর্বাত্মক হরতাল পালন করেছেন। সরকারি বাহিনি দ্বারা পরিবেষ্ঠিত একটি দলের সভায় গোপালগঞ্জের মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার পর মানুষ হতবাক হয়ে। এই হতবাক হওয়া মানুষও নিস্তার পায়নি। তাদের উপর গুলি ছোঁড়া হয়। অনেক নীরিহ প্রাণ হারিয়েছে। কার্ফু দিয়ে ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে তার পেটুয়া বাহিনি,নারীদের ওপর নির্যাতন করছে। শিশুদের গ্রেফতার করে জেলে পুরেছে।
এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রতিবাদ করতেই হরতালে ডাক দেওয়া হয়। হরতাল সফল হয়েছে। কিন্তু হরতালেও কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পেটুয়া বাহিনিসহ এই ফ্যাসিস্টদের একদিন বিচার হবে। দেশের মানুষ বিচার করবে।
সব শেষে শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। বলেন, হরতাল পালন করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় একদিন হবেই, দেশ মুক্ত হবেই।