জুলাই চেতনা ও জনআকাঙক্ষার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩রা আগস্ট সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জোটটি।
সংবাদ সম্মেলনে ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন’-এর নামে চলমান প্রক্রিয়াটি একটি ‘বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে কমিশন বাতিলের দাবি জানানো হয়। সকল রাজনৈতিক দলেকে এই কমিশন বর্জন করার আহ্বান জানান তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল.)-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মহাসচিব হারুন রশীদ খান। এ সময় আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম.এল.) সভাপতি হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও আইনশৃঙ্খলার উন্নতির বদলে অবনতি ঘটেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ধর্ষণের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘মব সন্ত্রাস’। এতে নাগরিকদের জানমাল ও সুশাসনের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন।
প্রতিদিনই উদ্বেগজনকভাবে মব সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান নেতৃবৃন্দ। এতে রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।
নেতারা অভিযোগ করেন, সরকারি মদদে রাজনৈতিক দল গঠন করে ড. ইউনূস নিজের নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তার নেতৃত্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তারা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা বিগত এক বছরে তাদের সম্পদের হিসাব না দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা ও আইনগত ভিত্তি নেই। তারা একটি বিশেষ মহলের হয়ে কাজ করছেন এবং একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন’-এর নামে চলমান প্রক্রিয়াটি একটি ‘বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্র’। নেতারা এই কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের উচিত এই কমিশন বর্জন করা এবং একে প্রত্যাখ্যান করা।