নারী ভোটার এবারও কম
হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাঁদের জন্ম তাঁদের ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন যুক্ত হচ্ছেন ভোটার তালিকায়। পাশাপাশি বিদ্যমান তালিকা থেকে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এখন (৩০ জুন পর্যন্ত) দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জন।
তাঁদের মধ্যে নারী ভোটার ছয় কোটি তিন লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ জন। অর্থাৎ পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৯৫০ জন কম। তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটার মোট ৯৯৪ জন।
যদিও এবার হালনাগাদ কার্যক্রমে যেসব ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তার মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।
এবার ২৭ লাখ ৭৬২ জন নারী ভোটারের নাম খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর পুরুষ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ২০৩ জন। হিজড়া পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ২৫১ জন।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো তৈরি হওয়া ছবিসহ ভোটার তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল।
সেবার মোট ভোটার ছিলেন আট কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ছিলেন চার কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৪৯ জন এবং পুরুষ ছিলেন তিন কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৫৪৯ জন। গতকাল রবিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব আখতার আহমেদ এবারের খসড়া ভোটার তালিকার তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য একটি সম্পূরক তালিকায় সংশ্লিষ্ট সব উপজেলা/থানা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
খসড়া তালিকা নিয়ে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা আগামী ১২ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাঁদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাঁরাও আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। আগামী ৩১ অক্টোবর বা তার পরে তরুণ ভোটারদের সম্পূরক তালিকা প্রকাশ করা হবে। সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ভোটারের সংখ্যা আরো বাড়বে।