প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানিয়েছেন—আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, “বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।”
কিন্তু এ বক্তব্যের পেছনে যে রাজনৈতিক বাস্তবতা লুকিয়ে রয়েছে, তা উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে যে দল স্বাধীনতার সংগ্রাম ও দেশের স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বদানকারী দল, সেই দলকে নির্বাচন থেকে বাদ দিয়ে দেশে সৃষ্টি করা হচ্ছে এক অস্বাভাবিক, অবৈধ পরিস্থিতি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল—তবে অংশগ্রহণ করতে পারবে জামায়ত, যে রাজনৈতিক দল দেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করেনি বরং মহান মুক্তিযুদ্ধে এই রাজাকারেরা স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখা প্রমাণ করে, এটি দেশকে পুনরায় পাকিস্তানের দাসত্বে ফেলার ষড়যন্ত্রের সূচনা।
এটি ইউনুস সরকারের মেটিকুলাস প্লানের অংশ, যেখানে ক্ষমতায় আসার জন্য ছাত্র হত্যা, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচনের পদ্ধতি বদলানো এবং আইন-শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। যুবক, নাগরিক ও স্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলোকে ভীত ও দমন করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা হচ্ছে।
অতএব, স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে—দেশের সংবিধান ও স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে নির্বাচনের নাটক সাজানো হচ্ছে, যেখানে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল কে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করার স্পষ্ট নৃশংস ষড়যন্ত্র।
অবৈধ শাসনের ছায়ায় নির্বাচন? স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দেশকে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা চালাচ্ছে এই অবৈধ ইউনুস সরকার।