অন্য কোন দেশ নয় একটা ব্যর্থ, অগণতান্ত্রিক এবং সেনা শাসিত স্বৈরাচারী রাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছেই বারবার ধরনা দিতে দেখা যাচ্ছে ইউনূস ও তাকে ক্ষমতায়ন করা জুলাই জঙ্গীদের। বলা বাহুল্য, এদেশে ২৬ লাখ ভারতীয়দের পরিবর্তে কত জন আইএসআই সদস্য জুলাই জঙ্গী ও জামায়াত-শিবিরকে ট্রেনিং দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ক্ষমতা দখলের পরপরই ইউনূসের পাকিস্তানপ্রীতি উপচে পড়তে দেখা গেছে। সেই সাথে সম্প্রতি, জুলাই জঙ্গীদের কিংস পার্টি এনসিপিও পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাথে বৈঠক করেছে।
বৈঠকে এনিসিপির নেতারা তাদের অগ্রজ, রাজাকার-আলবদরদের এবং পাকিস্তানি বাহিনীর মাধ্যমে সংঘটিত ৩০ লাখ বাঙালি গণহত্যাকে কম্প্রোমাইজ করে পাকিস্তানিদের সাথে হাত মিলিয়ে আবারো মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী এক পাকিস্তান আমলের স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চায়। বাংলাদেশের উপর আবারো পাকিস্তানি প্রভাব প্রতিষ্ঠা করার এ ষড়যন্ত্র কখনই মেনে নিবে না জাতি। জুলাই আগস্টে কোন আন্দোলন হয়নি, বরং এটি ছিলো নিছক একটি দাঙ্গা, যা দেশবিরোধী চক্র ও বিদেশি অপশক্তির সহায়তায় সরকার পতনের মাধ্যমে সফলতার ফসল ঘরে তুলেছে জুলাই জঙ্গী, ইউনূস, জামায়াত ও অন্যান্য পাকিস্তানপন্থী অপশক্তি সহ খোদ পাকিস্তান সরকারও।
মেটিকুলাস ডিজাইনে জুলাই ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি, এটি একটি লং টার্ম পরিকল্পনা, যার সফলতার অংশবিশেষ ছিলো শেখ হাসিনার সরকার পতন। জামায়াতে ইসলামির পর পাকিস্তানিদের সাথে সরকার প্রধান হিসেবে ইউনূস ও কিংস পার্টি এনসিপির মেলবন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তানের মোড়লগিরি বাস্তবায়ন করাও জুলাই ষড়যন্ত্রের আরেকটি অধ্যায়, যা পূর্বাভাস দিচ্ছে- অনাগত ভবিষ্যতে দৃশ্যত আমাদের জন্মভূমি হয়তো আবারো পাকিস্তানের অলিখিত প্রদেশে রুপান্তরিত হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর পাকিস্তানিদের প্রভাব বিস্তারের সাম্প্রতিক ব্যাপ্তি আমাদের সার্বোভৌমত্বকে আরও হুমকির সম্মুখীন করছে৷
ভবিষ্যতে এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামি ইউনূস সরকারকে দিয়ে একাত্তরকে ডিল করার মাধ্যমে পাকিস্তান প্রেমে বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জিবিত করার চেষ্টা করবে বিভিন্ন অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। যার প্রথম ধাপ ছিলো- দুইদেশের ভিসা সহজিকরণে ফলে বাংলাদেশি ভ্লগারদের দিয়ে পাকিস্তানের খাদ্য ও অন্যান্য সংস্কৃতি এদেশে ব্যাপক প্রমোশনের ভেতর দিয়ে। এভাবে একাত্তরে করা পাকিস্তানের নৃশংস গণহত্যাকে তুচ্ছ করে দেশবিরোধী শক্তিগুলো চাইছে ইতিহাস বিকৃত করে, বাংলাদেশের আপামর জনতার ব্রেইনওয়াশের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রেমের সঞ্চার করতে৷ আর যখন এ মিশন সফল হবে, তখনই বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ছায়াতলে আরেকটি প্রদেশ বানানোর প্রস্তাবনাও উত্থাপিত করতে দেখা যাবে জুলাই জঙ্গী ও জামায়াতিদের।