#
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং রাষ্ট্রক্ষমতা দখল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি করা এবং সারা দেশ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালায়। দেশবিরোধী অপশক্তির অপতৎপরতাই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য কেউ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার সুরক্ষা দেবে না; অনেকে সামর্থ্য রাখে না।
অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর পাকিস্তান পন্থী উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর বাড়-বাড়ন্ত লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশ যেনো পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে তথাকথিত ভারতবিরোধিতার হুজুগ তোলা হয় এবং এর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি সম্মিলিত প্রয়াসে অর্জিত স্বাধীনতাকে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করার বয়ান জোরালো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে সমগ্র জাতির সুমহান লড়াই-সংগ্রামকে খাটো করার ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। আবার পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ক্যাচলাইন- এর এক নিবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে দাবি করা হয়েছে, ‘এখন সময় এসেছে পূর্ব পাকিস্তানকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার।’
গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি, বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানি রাজনৈতিক ও মন্ত্রীদের অপতৎপরতা স্পষ্টভাবে চোখে পড়ার মতো। মুক্তিযুদ্ধের সবকিছু ধ্বংসকারী অবৈধ দখলদার সরকার ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে লোক দেখানো ক্ষমা চাইতে বললেও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধৃষ্টতা দেখিয়ে সেটাকে মীমাংসিত ইস্যু বলে অভিহিত করেছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও দেশবিরোধী এই অবৈধ দখলদার সরকার ন্যূনতম প্রতিবাদ না জানানোর কারণে তা প্রহসনে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের জনগণ জানতে চায় বিদেশিদের তাবেদার এই অবৈধ দখলদার সরকারের পাকিস্তানের প্রতি কী কারণে এই নতজানুতা? কেনো পরাজিত শক্তিকে আবার দেশ নিয়ে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে? পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতা, সামরিক-বেসামরিক আমলা ও গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) বাংলাদেশকে নিয়ে অপতৎপরতা চালিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভুল প্রমাণিত করতে চায়। তার পরও পাকিস্তানের প্রতি এই অবৈধ সরকারের বিশেষ ঝোঁক বাঙালির অর্জনকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। বাঙালি জাতির সুমহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও হানাদারবাহিনীর নিকৃষ্টতম নৃশংসতা ও বর্বরতাকে পাশ কাটিয়ে দুদেশের সম্পর্কের মাখামাখি শহিদদের আত্মত্যাগকে অপমান ও ইতিহাসকে উপেক্ষা করার শামিল। আমরা বিশ্বাস করি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল দেশপ্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপতৎপরতার জবাব দেবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। তারিখ: ২৪ আগস্ট ২০২৫