বিগ্রেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন গতকাল সামরিক অফিসারদের একটি প্রোগ্রামে আবারও ৭.৬২ বুলেটের বিষয় প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেছেন, গত বছর জুলাই আন্দোলনে নিহত প্রায় সবাইকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এটা ছিল স্নাইপার অ্যাটাক। আহতদের যারা চোখ হারিয়েছে তারাও স্নাইপার অ্যাটাকের শিকার।পুরো জুলাই আন্দোলন জুড়ে ছিল প্রফেশনাল স্নাইপার অ্যাটাক। এটা বাংলাদেশের পুলিশ করেনি। বাংলাদেশের পুলিশের স্নাইপার রাইফেল প্রশিক্ষণ নেই।
বিগ্রেডিয়ার সাখাওয়াত আরও ভয়াবহ, বিস্ফোরক তথ্য দেন। তিনি বলেন,”তিনি এবং সাবেক সেনাকর্মকর্তাদের একটা দল হাটতে হাটতে যখন মহাখালীর শাহীন কমপ্লেক্স পর্যন্ত পৌঁছান। তখন তার কাছে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ফোন আসে, স্যার আপনি স্নাইপারদের টার্গেট এরিয়ায় ঢুকে পড়েছেন, দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করেন”।
একবার চিন্তা করেন, ক্যান্টনমেন্টের পাশে মহাখালী শাহীন কমপ্লেক্স এলাকায় স্নাইপার’রা তখন তাদের পজিশনে ছিল। বিগ্রেডিয়ার সাখাওয়াতসহ অন্যান্য সাবেক সেনাকর্মকর্তাদের আন্দোলন পরিস্থিতি দেখাতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা স্নাইপার অ্যাটাকের শিকার হতে পারতেন।
সেই সাথে এটাও স্পষ্ট সেনা গোয়েন্দা সংস্থা জানতো ঢাকার কোথায় কোথায় স্নাইপার ব্যবহারকারী জ:ঙ্গিদের অবস্থান ছিল।
গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যখন লিবিয়ার রাস্তায় আন্দোলন হচ্ছিল। সেই আন্দোলনের আগে ফ্রান্স বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৫০০ লিবিয়ার তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ছিল। ২০০+ তরুণদের স্নাইপার রাইফেল ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে ছিল। সেই সাথে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মকর্তারাও নেমে পড়ে লিবিয়ার রাজপথে সাধারণ মানুষের সাথে।
লিবিয়ার মত কি শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে আরও অনেক আগে থেকে পেশাদার কিলার তৈরি করা হয়েছে?জুলাই আগস্টে দেশবিদেশী প্রফেশনাল স্নাইপার রাইফেল ব্যবহারকারী’রা ও ছিল ঢাকার রাস্তায়? শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে স্নাইপার রাইফেল ব্যবহারকারী পেশাদার কিলার’রা ঢাকায় কি ভাবে ঢুকেছে? কি ভাবে হাজার হাজার স্নাইপার রাইফেল ঢুকে পড়েছে দেশে? আওয়ামীলীগ সরকারের এত এত গোয়েন্দা সংস্থা, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা, এত এত নিরাপত্তা বেস্টুনী ভেঙে কি ভাবে পেশাদার অস্ত্রদারী, কিলার’রা দেশে ঢুকলো?