বাংলাদেশ একসময় ছিল উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসের এক অনন্য উদাহরণ। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কৃষি ও শিল্পখাতে বিনিয়োগ, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং কর্মসংস্থানের বিস্তারে লাখো পরিবার মুক্ত হয়েছিল দারিদ্র্যের শৃঙ্খল থেকে।
শেখ হাসিনার আমলে এই সাফল্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। তার আগে দেশে যেখানে প্রায় ৪০% মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে ছিল, তার দক্ষ নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছিল মাত্র ১২ শতাংশে। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এই সাফল্য প্রমাণ করেছিল সঠিক পরিকল্পনা ও জনগণমুখী নীতি থাকলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগোতে পারে।
কিন্তু সেই অর্জন আজ ভেঙে পড়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের মাত্র ১১ মাসের মাথায় দারিদ্র্যের হার আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। অর্থাৎ প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। এ এক ভয়াবহ উল্টো যাত্রা, যা জাতির উন্নয়ন অভিযাত্রাকে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে।
*ইউনুসের ব্যর্থ অর্থনৈতিক মডেল*
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন আধুনিক রাষ্ট্র গড়ার। কিন্তু বাস্তবে তার শাসন প্রমাণ করেছে
বিদেশি রেসিপি আর এনজিও-কেন্দ্রিক মডেল দেশের জন্য কার্যকর নয়।
কৃষি, শিল্প ও উৎপাদনকে উপেক্ষা করে দেশকে বানানো হয়েছে বিদেশি পরীক্ষাগার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে ভ্যাট ও কর বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবন করা হয়েছে দুর্বিষহ।
কৃষিখাতের অবহেলায় খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির বদলে চাপানো হয়েছে ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ, যাতে গরিব আরও গরিব হয়েছে।
*অর্থনীতি ধ্বংসের নীলনকশা*
ইউনুস সরকারের সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি কার্যত ধ্বংসের পথে
শিল্পপতিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, দুদকের হয়রানি—ফলে হাজারো কারখানা বন্ধ।
আমদানি কমেছে প্রায় ৩০%, রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে কয়েক বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক খাত আজ ঋণ ও অনিশ্চয়তায় জর্জরিত।
বিদেশি বিনিয়োগ একেবারে বন্ধ, পুরনো বিনিয়োগকারীরাও ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা ভেঙে পড়ায় শিল্প উৎপাদন অচল, লাখো মানুষ বেকার।
আজ স্পষ্ট ড. ইউনুসের উন্নয়নের মুখোশ আসলে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। তিনি গরিবের বন্ধু নন, বরং গরিবকে নিঃস্ব করার কুশলী। তার শাসন জনগণের নয় বরং বিদেশি স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার।
যদি এ অবৈধ শাসন দীর্ঘায়িত হয়, তবে অচিরেই অর্ধেক মানুষ হতদরিদ্রের কাতারে নেমে যাবে। দেশের অর্জন মুছে যাবে, কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে গরিবের নামে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। কৃষি, শিল্প, কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর অর্থনীতি-এই চার স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়েই দারিদ্র্য হ্রাস করতে হবে। অন্যথায় ইউনুস সরকারের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার বোঝা টানতে টানতেই দেশ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে গিয়ে ঠেকবে।(আওয়ামীলীগ পেইজ থেকে)