সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের রহস্যজনক মৃত্যু এবং তার মৃত্যুর দিন প্রকাশিত খোলা চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন মিডিয়া উইংয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টসহ দেশি-বিদেশি ১০৯ জন নাগরিক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
গত ২২শে আগস্ট মেঘনা নদী থেকে সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার হয়। একই দিনে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তার খোলা চিঠি, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে সাংবাদিকদের উপর চাপ ও আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনা।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু এবং খোলা চিঠিতে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তারা জানান, গত বছরের ৫ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর চরম দমন-নিপীড়ন চলছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থেকে শুরু করে হয়রানিমূলক মামলা, গ্রেপ্তার, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, চাকরিচ্যুতি, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল, প্রেসক্লাব সদস্যপদ স্থগিত ও বহিষ্কার এবং মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতায় অনেকেই দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
তারা অবিলম্বে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ড. ইউনূসের মিডিয়া উইংয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের আইনি পদক্ষেপ, কারাবন্দী সাংবাদিকদের মুক্তি এবং সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন—
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী, রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, সিরু বাঙালী, তাজুল ইমাম, গিলবার্ট নির্মল বাইন, ড. মহসীন আলী, বিচারক আক্তার জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদ, ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, লেখক তসলিমা নাসরিন, সাহিত্যিক ড. সেজান মাহমুদ, সাংবাদিক ফজলুল বারী, দস্তগীর জাহাঙ্গীর, সাইফুল আমিন, অধ্যাপক ড. শ্যামল দাস, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, ব্যারিস্টার সাঈদ আবেদিন, ড. রায়হান রশিদ, লেখক ডা. আবুল হাসনাত মিল্টন, কূটনীতিক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান অনু, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, ড. দিলীপ নাথ, লেখক শীতাংশু গুহ, এড. শাহ বখতিয়ার, হাকিকুল ইসলাম খোকন, শফিকুল আলম বরকত, মোস্তাইন দ্বারা বিল্লাহ, রওশন আরা নীপা, অধ্যাপক ড. নীরু কামরুন নাহার, শামীম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, কূটনীতিক আরিফা রহমান রুমা, সাংবাদিক সাব্বির খান, অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন, ডা. ফরহাদ আলী খান, সৈয়দ বোরহান কবীর, সোহেল হায়দার চৌধুরী, আকতার হোসেন, পুলক ঘটক, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, শেখ জামাল, সাইদুজ্জামান সম্রাট, খায়রুল আলম, হামিদ মোহাম্মদ জসিম, শফিক বাবু, চিত্রশিল্পী মো. মনিরুজ্জামান, অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচী, অরুণা বিশ্বাস, আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রী, সাংবাদিক নজরুল কবীর, সাজেদা পারভীন, ইঞ্জিনিয়ার জিয়া করিম, প্রকাশক রবীন আহসান, সাংবাদিক নিজামুল হক বিপুল, মানবাধিকারকর্মী শায়লা আহমেদ লোপা, সম্পাদক তৈমুর ফারুক তুষার, লেখক আফসানা কিশোয়ার লোচন, সাংবাদিক ও অভিনয়শিল্পী দীপান্বিতা মার্টিন, মো. সাদিক হাসান, অধ্যাপক ইশতিয়াক জামিল, গবেষক ড. আমিনুর রহমান,
কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, রহমান মামুন, রানা হাসান মাহমুদ, পুষ্পিতা গুপ্ত, ড. নওরীন তামান্না, শেলিনা আফরোজ জামান, অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, সম্পাদক জাকিরুল হক টিটন, সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন, সাংবাদিক খন্দকার ইসমাইল, চলচ্চিত্র প্রযোজক খোর্শেদুল আলম খোশরু, মানবাধিকারকর্মী অনামিকা প্রিয়ভাষিনী, চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিক গুলজার, শাহ আলম কিরণ, ড. মাসুদ পথিক, তানভীর হায়দার ভূঁইয়া, চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক, সংগঠক আল আমীন বাবু, নাহার মমতাজ, সম্পাদক ভায়োলেট হালদার, কবি তুহিন দাস, ইঞ্জিনিয়ার সাইফ সামস, নাট্যকর্মী অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য, অভিনেতা তমাল মাহবুব, জাসমিন চৌধুরী, সম্পাদক কুতুব হিলালী, সমাজকর্মী রানা মেহের, সাংবাদিক দেবেশ বড়ুয়া, নূর খান লিটন,
অধ্যাপক অপু আলম, অ্যাক্টিভিস্ট শুভাশিস দাশ, শাহাদাৎ রাসেল, সাইফুর রহমান, আযম খান, সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ, সুজাত মুনসুর, মাতিয়ার চৌধুরী, জুয়েল রাজ, শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, আব্দুল কাদের মুরাদ, বাতিরুল হক সরদার, মনিরা মলি, আবু সুফিয়ান এবং সাংবাদিক তৌফিক মারুফ।
তারা জোর দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের উপর যেকোনো নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু যেন আইনের আওতায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তে বেরিয়ে আসে।