২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সংঘটিত গ্রেনেড হামলা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ। রাষ্ট্রীয় মদদে সংঘটিত এই হামলায় শহীদ হয়েছিলেন মহিলা নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী। আহত হন শত শত মানুষ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। দীর্ঘ লড়াই, তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার পর জাতি ভেবেছিল—অবশেষে হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।
কিন্তু আজ দেশের মানুষ আবারও হতবাক। বাংলাদেশের আপিল বিভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাস বহাল রেখেছে। এ রায় কেবল একটি মামলার সমাপ্তি নয়; এটি পুরো জাতির ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থার মৃত্যু।
বিচারহীনতার কালো অধ্যায়
প্রকাশ্যে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের খুনিদের খালাস দেওয়া মানে হলো হত্যার রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়া। প্রশ্ন জাগে যদি গ্রেনেড হামলার মতো প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডেরও শাস্তি না হয়, তবে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? এ রায়ে স্পষ্ট হয়েছে অবৈধ ইউনুস সরকার এবং অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যই খুনিদের রক্ষা করেছে।
এই রায় কেবল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়; এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র।
অবৈধ সরকারের মুখোশ উন্মোচন
জাতি আজ প্রত্যক্ষ করছে খুনি, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারও রাষ্ট্রের ছায়াতলে নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। একুশে আগস্টের মতো নির্মম হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের খালাস দিয়ে ইউনুস সরকার প্রমাণ করেছে, তারা জনগণের নয়, বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত। রক্তমাখা ক্ষমতার চুক্তি ধরে রাখতে তারা ন্যায়বিচারকে কবর দিয়েছে। তাই এ সরকারের পতন অনিবার্য।
জনগণের আদালতই শেষ আশ্রয়
আজকের এই রায় বাংলাদেশে বিচারহীনতার এক ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছে। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কোনো অন্যায় রায় চিরস্থায়ী হয় না। জনগণের আদালতে খুনি, তাদের মাস্টারমাইন্ড এবং তাদের রক্ষকদের বিচার হবেই। বাংলার মানুষ আজ একবাক্যে বলছে— আমরা #খুনিদের খালাস চাই না, আমরা ইউনুসের বিচার চাই।