নাজমুল ইসলাম
মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় (১ ও ২ সেপ্টেম্বর) সারা দেশে ভয়াবহভাবে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত অন্তত ৮টি ধর্ষণের ঘটনায় শিকার হয়েছেন শিশু, স্কুলছাত্রী, নববধূ, কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মাদারীপুর: কালকিনির আট বছরের শিশুকে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় সোহাগ শিকদার (৪০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি, অভিযুক্ত পলাতক।
ঢাকা (নবাবগঞ্জ): হাসনাবাদ এলাকায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
রাজশাহী (গোদাগাড়ী): বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নারীকে (৩৩) ধর্ষণ মামলার আসামি ইমরান (২৬) কে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গাইবান্ধা: গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের পরদিন নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, নববধূর স্বামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ: দোয়ারাবাজারে পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় ইমাম ও শিক্ষক রহমত আলীকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা।
কিশোরগঞ্জ: শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে কর্মরত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে।
বান্দরবান: লামা উপজেলায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই তরুণকে (২১) আটক করেছে পুলিশ।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ধর্ষণের এই লাগাতার ঘটনা বিচারহীনতার সংস্কৃতির ভয়াবহ প্রতিফলন। তারা বলছে, ৪৮ ঘণ্টায় ৮টি ধর্ষণের ঘটনা শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং নারীর নিরাপত্তাহীনতার নগ্ন চিত্র।