অনেক দিন ধরেই কিডনি জটিলতায় ভুগছেন দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ডায়ালিসিস করানো হয় তাঁর। ডায়ালিসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন।
এখন ফরিদা পারভীন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘আজ দিনের যেকোনো সময় আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে ফরিদা পারভীনকে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তাঁর শ্বাসকষ্টসহ আরো নানা সমস্যা আছে।
আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তাঁর সুস্থতার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল জানিয়েছেন, ‘আম্মাকে ডায়ালিসিস করতে নিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়।
তারপর তো আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়।’
এর আগে ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম বলেছিলেন, ‘সার্বিকভাবে তাঁর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে চারবার আইসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ফুসফুস আর কিডনিজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল থাকে।
উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি পান না। হাঁটতেও পারেন না। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা রয়েছে তাঁর। বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে লালনসংগীতে তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।