লুসিড ড্রিম প্লাটফরমের সতর্কবার্তা
ভেনেজুয়েলার পিডিভিএসএ কোম্পানি, ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি, রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্টদের উপর যে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে , বাংলাদেশে তাদের অনির্বাচিত পুতুল সরকার হচ্ছে ইউনূস। ইউনূসের পাপের পাহারাদার হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী নামক স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল।এরা মুখে ইরান, অন্তরে আমেরিকার খাঁটি দালাল। ইসলামের নামকরে পাকিস্তান যেভাবে আমেরিকার দালালী করছে অর্থ ও সম্পদের লোভে ঠিক সেভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া ইউনূস হয়েছেন মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী বাটপার।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর উপকূলে ক্যারিবীয় সাগরের তীরে অবস্থিত ভেনেজুয়েলা শুধু তেল সমৃদ্ধ রাষ্ট্রই নয় , তারা আজকে ইরানের মতো রাশিয়া ও চীনের অন্যতম মিত্র।আমেরিকা যে ইসলামের জন্য যুদ্ধ করে না তার প্রমাণ ভিয়েতনাম। ভেনেজুয়েলাকে আমেরিকা যে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে তার পেছনে আছে ভেনেজুয়েলার জ্বালানি সম্পদ।
শীতল যুদ্ধ থেকে শুরু করে উপসাগরীয় যুদ্ধ পর্যন্ত আমেরিকান অন্যতম শক্তি ছিল তেল। সেই তেল দিন দিন আমেরিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।এতেই মাথা নষ্ট আমেরিকার।তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো এক হয়ে যেকোনো মুহূর্তে আমেরিকার অর্থনেতিক ব্যবস্থা দূর্বল করে দিতে পারে তা আমেরিকার বেশ ভালোই জানা আছে। এজন্য আমেরিকা যখন ভেনেজুয়েলাকে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে তখন চীনের প্রেসিডেন্ট চিন পিং আমেরিকাকে দেখাচ্ছে বৃদ্ধাঙ্গুল। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইতিমধ্যে আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো শুরু করে দিয়েছেন রাশিয়া ও চীনের সাহসে।এমনকি তিনি চীনের বেশ্বিক শাসন উদ্দ্যেগের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন। মজার বিষয় হচ্ছে চীন, ভারত ও রাশিয়া একজোট হওয়ার পর থেকে আমেরিকাকে তার চারপাশেই ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে এই আরআইসি জোট। ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকার আধিপত্য কমতে শুরু করেছে।ভারতের চীনের সাথে সখ্যর কারণে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে আমেরিকার চীনকে ঠেকানোর কৌশল “কোয়াড”।
অপরদিকে মহেশখালীতে নতুন নগরীর শিরোনামে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ইউনূস আমেরিকার যে গোপন ঘাঁটি করার দায়িত্ব নিয়েছে আজ তাই তার জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন, ভারত ও রাশিয়া কেউই এখন আর ইউনূসের কার্যাকলাপে সন্তুষ্ট নয়। আমেরিকার দালাল ইউনূস দেশ ছেড়ে যেকোনো মুহূর্তে পালিয়ে গেলেও এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।দক্ষিণ এশিয়াকে রক্ষা করতে হলে এই অঞ্চলে আমেরিকার দালাল ইউনূস ও তার দাস জামায়াত শিবির দেশছাড়া করার কোন বিকল্প নাই।দেশ বাঁচাতে হলে দেশ থেকে জামায়াত শিবির নামক আমেরিকার দালাল শয়তান জামায়াত শিবির তাড়াতেই হবে।
আমেরিকা যেভাবে খারাপ চোখ দিয়েছে ভেনেজুয়েলার উপর সেভাবেই চোখ দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের উপর। ভবিষ্যতের ভারত, চীন ও রাশিয়া যেন আমেরিকার বিকল্প পরাশক্তি হয়ে উঠতে না পারে এবং এদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ভূখণ্ডের একটা ছোট অংশ তাদের খুব দরকার। আমেরিকার এই অবৈধ প্রস্তাবে সাড়া দেননি বলেই বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করা হয়েছে। এই আমেরিকা নামক শকুনদের দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশের উপর। এজন্য বাংলাদেশকে আগামীর সিরিয়া, লিবিয়া ও আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখছে আমেরিকা, পাকিস্তানি আইএসআই ও জামায়াতে ইসলাম। ভেনেজুয়েলার মত বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ পরিপূর্ণ দেশ নয়। কিন্তু ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের মাটি খুব দামী তা বুঝে গেছে আমেরিকার ডিপ স্টেট। এজন্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও ইরানের প্রেসিডেন্ট খোমেনি আমেরিকার চরম অপছন্দ হলেও ইউনূসকে নোবেল দিয়ে বানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের জনক নাস্তিক জিন্নাহ এর মতো প্রভাবশালী মুসলমান। আমেরিকার চাল বুঝতে না পারার জন্য পাকিস্তান হয়েছে আহম্মকদের বেহেশত আর বাংলাদেশ হচ্ছে একটি জ-ঙ্গী রাষ্ট্র। বাংলাদেশে পাকিস্তানের মত যত জ-ঙ্গী উৎপাদন হবে আমেরিকার ততই লাভ। এজন্য ৫ ই আগষ্ট ঘটানোর জন্য জামায়াতে ইসলামীর পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে আমেরিকা। আমেরিকার প্রভুত্ব স্বীকার করার জন্য আজ যে ইউনূসকে তারা বাস্কেট বল বানিয়ে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে খেলছে সেই খেলাটা তারা খেলতে পারেনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সাথে। এজন্য নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে বারবার রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে আমেরিকা। স্বার্থের জন্য আমেরিকা যদি জামায়াত নামক শয়তানকে গাছের আগায় উঠাতে পারে তবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে জামায়াতকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে যাওয়ার ব্যবস্থাও আমেরিকাই করবে। এসব তাদের পুরোনো খেলা, যার বলি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভেনেজুয়েলা।
সত্য সবসময় সুন্দর, লুসিড ড্রিম ০৩-০৯-২০২৫