বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট ২০০৪ কোনো সাধারণ দিন নয় এটি জাতির বুক বিদীর্ণ করা এক রক্তাক্ত স্মৃতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো সেই নারকীয় গ্রেনেড হামলা কেবল একজন নেত্রীকে নয়, গোটা জাতির গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার নীলনকশা ছিল।
সেদিনের ভয়াল বিকেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল বহু নিরপরাধ প্রাণ, রক্তে ভেসেছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দেহ। আইভি রহমানসহ অসংখ্য নেতা–কর্মী শাহাদাত বরণ করেছিলেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও, আহতদের আর্তনাদ ও নিহতদের চিৎকার আজও জাতির কানে বাজে।
কিন্তু আজ সেই রক্তের ঋণ ও শহীদদের আত্মত্যাগের সাথে নগ্ন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে অবৈধ ইউনুস সরকার। যে মামলায় আদালত খুনী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর সাজা দিয়েছিল, সেই রায় উল্টে দিয়ে আসামীদের খালাশ দিয়েছে তারা। এটি কেবল আইনের সাথে প্রতারণা নয়, বরং গোটা জাতির সাথে এক নির্মম বিশ্বাসঘাতকতা।
২১ আগস্ট হামলার মূল হোতারা ছিল বিএনপি-জামায়াত ও তাদের বিদেশি প্রভুর দোসর। আজ সেই খুনী চক্রকেই রক্ষাকবচ দিচ্ছে ইউনুস সরকার। শহীদের রক্তকে পদদলিত করে তারা আবারও প্রমাণ করল এই সরকার জনগণের নয়, খুনী জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ও স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির দোসর।
২১ আগস্ট আমাদের চোখে পানি আনে, কিন্তু বুকের ভেতর আগুন জ্বালিয়ে দেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার। শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আমরা শপথ নিই খুনীদের মুক্তি দিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা বাংলাদেশের জনগণ কোনোদিন মেনে নেবে না। গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আবারও প্রমাণ করবে বাংলাদেশ খুনী ও ষড়যন্ত্রকারীদের নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের।