বাংলাদেশ আজ এক অন্ধকার সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে কশাইয়ের মতো মানুষ খুন হচ্ছে, লাশ পড়ছে রাস্তায়, কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার। মানবিকতা কোথায় গেলো? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি কেবল দুর্বল আর নিরীহ মানুষের ওপর দমনপীড়ন চালানোর জন্যই? প্রতিদিন খুন, খুন আর খুন কিন্তু খুনিদের গ্রেপ্তার নেই, শাস্তি নেই। এ যেন বিচারহীনতার এক ভয়ংকর সংস্কৃতি।
হত্যাকারী মুক্ত, ভুক্তভোগী বন্দি
বাংলাদেশের আজকের বাস্তবতা হলো,যারা খুন করে তারা রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় নিরাপদ, অথচ যারা ভুক্তভোগী তারাই জেল-হাজতে। বিএনপি নিজের মুখেই স্বীকার করেছে তাদের চার হাজার নেতা-কর্মী বহিষ্কৃত হয়েছে নানা অপকর্মের জন্য। কিন্তু বিস্ময়করভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে তারা নিষ্পাপ! তাই তাদের ধরা হয় না, আটক করা হয় না। উল্টো সাধারণ মানুষ, বিরোধী মতের মানুষ অথবা আওয়ামী লীগের সমর্থকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটি কি রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার? না কি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র?
খুনিদের রক্ষক অবৈধ সরকার
খুনিদের গ্রেপ্তার না করে তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে, খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ইউনুস সরকারের কাছে আজ খুনিরাই নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। হত্যাকারীদের লালন-পালন করা, অপরাধীদের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দাঁড় করানোই যেন এই সরকারের নীতি। এটি কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং রাষ্ট্রকে খুনিদের হাতে সমর্পণ করার অপচেষ্টা।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি
এ দেশে আজ ন্যায়বিচারের কোনো জায়গা নেই। খুনের শিকার পরিবারগুলো বিচারহীনতার শিকার হয়, অথচ খুনিরা রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় হেসে বেড়ায়। খুনিদের জন্য জামিন, খুনিদের জন্য ছাড়, খুনিদের জন্য সুবিধা এমন নজির বিশ্বে বিরল। ইতিহাস একদিন সাক্ষ্য দেবে ড. ইউনুসের অবৈধ সরকার বিচারহীনতার এক কালো অধ্যায় রচনা করেছে।
বাংলাদেশের মানুষ আর চুপ করে থাকবে না। প্রতিটি খুন, প্রতিটি অন্যায়, প্রতিটি অন্যায্য রায় জনতার রক্তে লেখা হচ্ছে। বাংলার মানুষ আজ ঘৃণায় ফুঁসে উঠেছে। তারা বলছে—
খুনিদের আশ্রয়দাতা অবৈধ ইউনুস সরকারকে আমরা মানি না।
ন্যায়বিচার চাই, খুনিদের বিচার চাই।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বাংলার মাটিতে অবৈধ সরকারের পতন হবেই, খুনিদের বিচার হবেই এটাই জাতির অঙ্গীকার।