রাজধানীতে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মিছিল ক্রমশ বড় হচ্ছে। এখন এসব মিছিলে ন্যূনতম ৫-৬শ মানুষ সমবেত হয়ে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে দিয়ে যান। আজও এমন এক বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে আওয়ামী লীগের অন্তত এক হাজার নেতাকর্মীর সদর্প পদচারণায়।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই মিছিলের পর একটি বাইকসহ ৬ জনকে আটকের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
তবে এমন গ্রেপ্তার এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। মিছিলে জনসম্পৃক্ততা দেখে এটা স্পষ্ট যে, গ্রেপ্তার ও ধরপাকড়কে থোড়াই কেয়ার করছেন নেতাকর্মীরা। বরং হাসতে হাসতে পুলিশের গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন। পরদিন আরেক মিছিলে এসে সমবেত হচ্ছেন দ্বিগুণ সংখ্যক কর্মী-সমর্থক। এমনকি পথচারীরাও যুক্ত হচ্ছেন তাতে।
আজ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও অনুসারীরা বাংলামোটরে ড. ইউনূসের কিংস পার্টি এনসিপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে মিছিল নিয়ে যান।
মিছিলে থাকা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, এই অবৈধ সরকার কাউকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি।”
তিনি বলেন, “আমরা দুপুর ২টার পর থেকে বাংলামোটর মোড়ে লোকজন নিয়ে জড়ো হতে থাকি। আড়াইটার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রাস্তা ধরে মিছিল নিয়ে যাই। আমাদের মিছিল দেখে আশপাশের লোকজনও মিছিলে যোগ দিয়েছে।”
পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের বোরাক টাওয়ারের এক কর্মচারী বলেন, “হঠাৎ দেখি হাজারখানেক লোক “শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা” স্লোগান দিয়ে, “জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান দিয়ে বাংলামোটর থেকে বোরাক টাওয়ারের দিকে আসছে। মিছিলে “শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে”, “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”, “হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ” স্লোগান দিচ্ছিল লোকজন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, বাংলামোটর থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে আসছিল। পুলিশ একটি বাইকসহ ছয়জনকে আটক করেছে।