বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর প্রতিবেদন পড়ার পর বুঝতে পারলাম যে, এটা শুধু কোনো প্রতিবেদন না, এটা আসলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মরনঘণ্টার সূচনা সঙ্গীত। এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ষাট হাজার — একটা দেশের জন্য যা কোনো সাধারণ পরিসংখ্যান নয়, বরং একটা গভীর সংকটের ইঙ্গিত। দেশের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে তিনজনের একজন বেকার, আর ঢাকা বিভাগে বেকারের সংখ্যা ছয় লাখ আশি হাজার — এই সংখ্যাগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, এগুলো একেকটা জীবন, একেকটা পরিবারের স্বপ্নভঙ্গের গল্প। কিন্তু এই সংকটের পেছনে যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, বিদেশি চক্রান্ত, এবং দেশীয় গাদ্দারদের হাত রয়েছে, সেটা তো এখন প্রমাণিত সত্য।
গত বছরের জুলাই মাসে দেশজুড়ে যে দাঙ্গা বাঁধানো হয়েছিল, তার পেছনে ছিল ইসলামিক জেহাদি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তা, বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থ, এবং দেশের সামরিক বাহিনীর সমর্থন। এই দাঙ্গার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্যু করে ফেলে দেওয়া হয়েছে, আর ক্ষমতায় বসানো হয়েছে সুদখোর মহাজন ইউনুসকে। এই লোকের হাতে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, এবং যুবশক্তির ভবিষ্যৎ এখন ধ্বংসের পথে। তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে, শ্রমবাজারে অস্থিরতা বাড়ছে, এবং যুবকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে।
শ্রমবাজারে নিরক্ষর শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটি ত্রিশ লাখ—এই সংখ্যাটা শুধু শিক্ষার অভাবের কথা বলে না, বরং দেশের অর্থনীতির উৎপাদনশীলতার উপর একটা বড় রকমের সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে। শিল্প ও সেবা খাতে দক্ষতার ঘাটতি থাকায় অনেকেই কাজ পেলেও তাদের উচিত মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। আর এই অবস্থার জন্য ইউনুস ছাড়া দায়ী আর কে!
কর্মসংস্থানের কাঠামোতে যে বৈষম্য দেখা যাচ্ছে, তা আরো ভয়াবহ। দেশের ৮৪ শতাংশ শ্রমশক্তি অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছে, যেখানে তাদের কোনো সামাজিক নিরাপত্তা নেই, ন্যায্য মজুরি থেকে তারা বঞ্চিত। গ্রামে এই হার ৮৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, শহরে ৭৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ—অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ মানুষই এখন সুরক্ষাহীন, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে আছে।
ইউনুসের মতো মানুষেরা দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, এবং যুবশক্তির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে, শ্রমবাজারে অস্থিরতা বাড়ছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের যুবশক্তিকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কে করবে এই কাজ? কে দেবে তাদের ন্যায্য অধিকার? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে চোখে পড়ে সেই অবৈধ ক্ষমতাসীন চক্রের মুখ, যারা দেশের সম্পদ লুটপাট করে নিজেদের ভাণ্ডার ভরছে, আর দেশের যুবশক্তিকে বেকারত্বের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। আওয়ামীলীগ পেইজ থেকে)