আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ এ. আরাফাত তার ফেসবুক পোস্টে তথাকথিত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের অতীত কর্মকাণ্ড ও অপতৎপরতার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে বলেছেন, মাহমুদুর রহমান কখনোই পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন না, বরং সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে গুজব, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
মোহাম্মদ এ. আরাফাত লিখেছেন, মাহমুদুর রহমানের সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকায় সত্যের চেয়ে মিথ্যা ও গুজবই বেশি প্রকাশিত হতো। এর একটি জঘন্য উদাহরণ হলো কাবা শরিফের ছবিকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করে একটি মিথ্যা খবর ছাপানো, যেখানে দাবি করা হয়েছিল— সৌদি আরবে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবি উঠেছে। অথচ খবরটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ছিল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, লাতিন আমেরিকার দুর্যোগে নিহত মানুষের ছবি ব্যবহার করে বাংলাদেশে গুজব ছড়িয়েছিল এই মাহমুদুর রহমান। আবার খালেদা জিয়ার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তিনি গভীর রাতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকও করেছেন, যা গণমাধ্যমে ধরা পড়লে তিনি মুখ ঢেকে পালিয়ে যান।
মোহাম্মদ এ. আরাফাত-এর পোস্টে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েও মাহমুদুর রহমানের ভয়ংকর প্রতিহিংসার প্রমাণ পাওয়া যায়। আদালত প্রমাণের ভিত্তিতে এ মামলায় তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির প্রিয়পাত্র হিসেবে মাহমুদুর রহমান বরাবরই আওয়ামী লীগবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া এবং সহিংসতা প্ররোচনার ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ সেই তথ্যসন্ত্রাসীকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবতাবিরোধী মামলার সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
মোহাম্মদ এ. আরাফাত লিখেছেন, “ইউনূস ও মাহমুদ গংরা আদালতকে ব্যবহার করে ভিন্নমত ও ভিন্নদলকে নিশ্চিহ্ন করার খেলায় মেতেছে। এটি দেশের ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য মারাত্মক হুমকি।”
শেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অচিরেই এই দুঃশাসন ও অপশাসনের অবসান ঘটবে এবং দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন মাহমুদুর রহমানের মতো চক্রান্তকারীরা পরাজিত হবে, আর সত্যের জয় হবে।