ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচন হবে – এই কথা বলতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেন দেশবাসীকে নতুন করে ধোঁকা দিতে চাইছেন। কিন্তু এই নির্বাচনের কথা বলা মাত্রই একটা বড় প্রশ্ন উঠে আসে : কোন সমঝোতার ভিত্তিতে? কোন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে? যখন দেশের নির্বাচিত সরকারকে জুলাই মাসের দাঙ্গা, বিদেশি অর্থায়ন, জেহাদি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তা, এবং সামরিক বাহিনীর সমর্থনে ক্যু করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, তখন কোন সমঝোতার কথা বলা হয়? এই সমঝোতা কি দেশবাসীর সাথে, নাকি দেশ লুটপাটের জন্য সুদী মহাজন ইউনুসের নিজস্ব স্বার্থরক্ষার জন্য?
ইউনুসের এই কমিশন, এই ঐকমত্য, এই সমঝোতা—সবই একটা বিশাল ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করে, এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা এখন নির্বাচনের কথা বলছেন। কিন্তু এই নির্বাচন হবে কাদের জন্য? কাদের অংশগ্রহণে? যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকারকে পদদলিত করা হয়েছে, যখন গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলোকে উপহাস করা হয়েছে, তখন এই নির্বাচনের কোন মূল্যই থাকে না।
দেশের মানুষের জানতে চায় : এই নির্বাচন কি তাদের জন্য, নাকি ইউনুসের নিজস্ব স্বার্থরক্ষার জন্য? এই নির্বাচন কি গণতন্ত্রের জয়গান গাইবে, নাকি দেশ লুটপাটের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে?
এসবের উত্তর সবই দেশের মানুষের জানা। তারা বুঝতে পারে, এই নির্বাচন কোন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়, বরং একটা নতুন ধরনের ক্যু — যেখানে দেশের মানুষের ভোটাধিকারকে উপহাস করা হবে, যেখানে গণতন্ত্রের নাম করে একটা নতুন ধরনের স্বৈরশাসন কায়েম করা হবে।(আওয়ামীলগ পেইজ)