ঢাকা, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ – শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেন, “অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং সকল মত-পথের মানুষের জন্য বাংলাদেশকে অনিরাপদ করে তুলেছে। কেউ তাদের মতাদর্শ অনুযায়ী পথ চলতে পারছে না। এই অবৈধ দখলদারদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে অভিনব মবসন্ত্রাসের উত্থান ঘটেছে। ফলে এই মবসন্ত্রাসীরা নিজেদের বিশ্বাস ও মতাদর্শের বাইরে যে কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে কুণ্ঠাবোধ করে না। এদের হামলা থেকে মাজার, মসজিদ, মন্দির-সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও রক্ষা পায়নি।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে মাজার ও খানকায় এবং বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এই অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী-সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপরও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। গত বছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবে সিরিজ আকারে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙা হয়েছিল। এবার শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হওয়ার আগেই সম্প্রতি গাজীপুর, কুষ্টিয়া, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা ও জামালপুরে বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা বরাবরের ন্যায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যে কোনো মতাদর্শে বিশ্বাসী মানুষের নিজেদের মতপ্রকাশ ও পথে চলার স্বাধীনতা রক্ষা করাই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এবং সেটা এই অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বিনষ্ট করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা বাঙালির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অংশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।”