বিগত একবছরে মেটিকুলাস ডিজাইনে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে ফ্যাসিস্ট ইউনূস টার্গেট করেছে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল, হয়রানি, মিথ্যা মামলায় জড়ানো আর কোনো অপরাধ প্রমাণের আগেই বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাসহ অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখা হচ্ছে। এছাড়াও ইউনূসের সন্ত্রাসী প্রেসারগ্রুপে মবজাস্টিস, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ প্রশাসনের ঘুষ দাবি, দুর্নীতি সহ উচ্চ হারে সুদ আদায়, বাড়তি দামে গ্যাস সংকট এরকম চাপিয়ে দেওয়া নতুন নিয়ম ব্যবসায়ীদের উপর নির্যাতন স্বরুপ। ইউনূস প্রশাসনের ব্যবসায়ীদের উপর এমন শত্রুসুলভ আচরণের কারণে একরকম অনাস্থারই সৃষ্টি হয়েছে ব্যাবসায়ী ও বর্তমান অবৈধ প্রশাসনের মধ্যে।
ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কিসে তা শোনার আগ্রহ নেই ইউনূস প্রশাসনের। বর্তমান বাংলাদেশ বিনিয়োগ শূন্য, ব্যবসায়ীদের ঋণ খেলাপী বানানো হচ্ছে৷ পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা দিতে কমিটি করা হলেও নামমাত্র কিছু ব্যবসায়ীকে এ সুবিধা দিলেও বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস ও বেকারত্ব বাড়াতে ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং ১০ টি ব্যাংক দেউলিয়া হবার গুজব রটিয়ে শিল্পকারখানাগুলো বন্ধ করার পেছনে ইউনূসের ষড়যন্ত্র পষ্ট। দৈনিক কালের কন্ঠের একটি প্রতিবেদনে ব্যবসায়ীদের করা অভিযোগ ভিত্তিতে জানা যায়, ‘প্রথমে শীর্ষ ১০ গ্রুপকে বলির পাঁঠা বানানোর চেষ্টা করা হয়। এসব গ্রুপে রিসিভার বসানোর মিথ্যা প্রচার করা হয়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে তখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এদিকে এসব গ্রুপের কোনো কোনোটি তখন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে হাজার হাজার কর্মী চাকরি হারান। নির্বিচারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। অনেক উদ্যোক্তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। অনেককে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তাঁদের স্বাধীন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। এ সময়ে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের অনেকের বিদেশি বায়ারদের সঙ্গে বিজনেস মিটিং থাকলেও তাঁরা তা করতে পারেননি। এতে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অথচ তাঁদের অপরাধ এখনো প্রমাণিত হয়নি।’
ব্যবসায়ীদের মতে, অপরাধ প্রমাণের আগেই তাঁদের হয়রানি করা ব্যবসা বন্ধের ষড়যন্ত্র কিংবা বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া—এগুলো ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ ছাড়া আর কিছু নয়। একই সময়ে ১০টি ব্যাংকের বিষয়ে অপতথ্য ছড়ানো হয়। বলা হয়, এসব ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এ খবরে বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিদেশি ক্রেতারা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। অথচ কয়েকটি ব্যাংক খারাপ অবস্থায় থাকলেও এখনো দেউলিয়া হওয়ার মতো নয়।
‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০২৫ সালে নতুন করে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতিও সে কথাই বলছে, কারণ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বেকারত্ব হু হু করে বাড়ছে৷ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ধ্বংস করে দেশে দারিদ্র্য সৃষ্টি করে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে ইউনূস গং৷
টেক্সটাইল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল সমপ্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘২০২৫ সালে শুধু শিল্প নয়, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এটাকে আমরা ষড়যন্ত্র মনে করি। শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্প-কারখানার গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে। গ্যাসসংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাদের কারখানা লে-অফ হচ্ছে। কিছুদিন পর মানুষ রাস্তায় নামবে। আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে।’