বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্প্রতি রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ মিছিলের সময় হামলা এবং নির্বিচার গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
দলীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের কারণে দেশের সাধারণ মানুষ নরকীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। দেশের মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে ভরা। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, হত্যা, খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ নিত্যদিনের ঘটনা। সন্তানদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মাকে গণধর্ষণ, কবর থেকে লাশ তুলে আগুনে পোড়ানোসহ নিকৃষ্টতম সহিংসতার নজির এই সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইউনূস সরকারের নির্দেশে গোপালগঞ্জে গণহত্যা চালানো হয়েছে। দেশের মানুষ এক জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পড়ে নরকযন্ত্রণা ভোগ করছে। এই পরিস্থিতি থেকে জনগণকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকালও রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার বা চিকিৎসা নিশ্চিত না করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল ক্যাডাররা মবসন্ত্রাস চালিয়ে অনেককে অপহরণ ও গুম করছে এবং মারাত্মক নির্যাতনের মাধ্যমে আহত করেছে। আহতদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
আওয়ামী লীগ এই ন্যক্কারজনক হামলা ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দুপুর ২টায় ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দলের নেতাকর্মীরা নির্ভীক ও অকুতোভয়। দলের বিশ্বাস, যেদিন জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় অর্জন করবে, সেদিন এসব অশুভ শক্তির বিচার হবে। আজকের রাক্ষসপুরীতে পরিণত বাংলাদেশ আবার শান্তির জনপদে রূপান্তরিত হবে, ইনশাল্লাহ।