কবির য়াহমদ
আওয়ামী লীগের কেউ যাতে সহজে জামিন না পায়, সে চেষ্টা চলছে–এই মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন উপদেষ্টা যখন এমন মন্তব্য করেন, তখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোথায়–তা আর বলতে হয় না।
আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এই ফ্যাইসিস্ট মন্তব্য সত্ত্বেও কোন সমালোচনা হবে না। তবে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়ে গেলেই কিন্তু উপদেষ্টাকে অভিযুক্ত করা হবে। এজন্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়া লাগবে না, নিয়মতান্ত্রিক ও বৈধ যে সরকারই আসবে, তারাই ধরবে।
বর্তমানে আমরা সভ্য দুনিয়ার বাইরে বাসিন্দা। স্রেফ আওয়ামী-জুজুতে মানবতাবিরোধী অপরাধকেও যেভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তাতে ধ্বংস ছাড়া ভবিষ্যৎ নেই। এখন যারা চুপ থেকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধকে, অপরাধীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও পতন কিন্তু ভবিতব্য এবং অবধারিত।
শ্রেণি ভেঙে শ্রেণি জন্মায়। আওয়ামীশ্রেণির ভাঙনে যে শ্রেণির জন্ম হয়েছিল, এক বছরে তারা নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়েছে। অসভ্য-অভব্যতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে দেশকে। ফলে সময়ের অপেক্ষা কেবল তাদের পতনের। অথচ তাদের সামনে সুযোগ ছিল, কিন্তু সুযোগকে স্বেচ্ছাচার আর ফ্যাইসিজমে বরবাদ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদল জনগণের মাধ্যমে হওয়ার সুযোগ কমে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছিল বিভিন্ন শক্তির সমর্থন হারানোয়; ভবিষ্যৎও হয়ত এখন সে দিকে আমাদের। এমন যদি হয় ফের, তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক।
জুলাইয়ের আন্দোলন বিশাল কোন আন্দোলন ছিল না। এর চাইতে বড় আন্দোলন বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে করেছিল, কিন্তু সরকার পতনের জন্যে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পেছনে ছিল না বলে ব্যর্থ হয়েছিল। জুলাইয়ে সেই প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পেছনে ছিল বলে সরকারের পতন হয়েছে। অন্যকিছু নয়।
আগস্টোত্তর সরকার ফরমায়েশি সরকার। এরা ব্যর্থ হয়েছে। তাই মিউজিক্যাল চেয়ার চলতে শুরু করল বলে..
আওয়ামী লীগ ঠেকানোর নামে সরকার যা করছে, তাতে গৃহযু*দ্ধের দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দেশের দুই-পঞ্চমাংশের কাছাকাছি মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
যারা আবার আক্রান্ত হয়, শক্তি ও সংখ্যায় তারা দ্বিগুণ হয়ে যায়।