বাংলাদেশ, এই নামটা শুধু একটা ভূখণ্ড নয় এটা মুক্তিযুদ্ধের রক্তে, ত্যাগে ও স্বপ্নে গড়া এক জাতি। সেই জাতিকে আজ যারা দিনের আলোয় লুটছে, #গুম করছে, কুপিয়েছে—তাদের কাছে যদি আমরা ভদ্রতা দেখাই, তাহলে আমরা ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছি।
রাস্তায় মানুষকে কুপিয়ে #মারা হচ্ছে। সাংবাদিকরা, বিরোধী নেতা, মানবাধিকার কর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অর্থনীতি লুটে নেওয়া হয়েছে; দেশের সম্পদ পাচার করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে; সার্বভৌমত্ব বিক্রির পাঁয়তারা চলছে। অথচ যখন জনগণের প্রতীকী ক্ষোভ একটা ডিম, একটা প্রতিবাদ প্রকাশ পায়, তখনই শুরু হয় ‘শিষ্টাচারের’ কান্না। প্রশ্ন উঠবে শিষ্টাচার কার? খুনির নাকি শহিদের?
অপরাধের নামেই তাদের পরিচয়
যারা আজ দেশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তারা কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়; তারা পুরো দেশের শত্রু। তাদের অপরাধগুলো স্পষ্ট ও বহুমাত্রিক:
রাষ্ট্রদখল: ভোটাধিকার লুট করে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা।
অর্থলুট: ব্যাংক, রিজার্ভ ও জনসম্পদ লুট করে অর্থনীতি ধ্বংস করা।
দেশদ্রোহিতা: বিদেশি স্বার্থের দালালী করে সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করা।
জঙ্গিবাদপোষণ: মৌলবাদের উসকানি ছড়িয়ে জাতির চেতনা ক্ষুণ্ণ করা।
উন্নয়নবিনাশ: বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা নষ্ট করে দেশের উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়া।
এসব কেবল ব্যক্তি-লঙ্ঘন নয় এগুলো জাতির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করার চেষ্টা। তাই এদের প্রতি ভদ্রতা দেখানো মানে অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়া।
এই অবৈধ সরকার দেশ দখল করেছে ডাকাতি যেমন রাতের আঁধারে মানুষের ঘরে ঢুকে সব লুটে নেয়, তেমনি এরা দিনের আলোয় রাষ্ট্র লুটছে। প্রশাসন, আদালত, নিরাপত্তা বাহিনীর নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিদেশি প্রভুর ইশারায় চলা,এহেন পরিস্থিতি কখনোই স্বাধীনতার মর্যাদার সঙ্গে মেলে না। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আগে আমাদের শোষণকারী ছিলেন বাহিরের এক শক্তি; আজকের শোষণকারীরা ভেতর থেকে দেশকে ক্ষয় করে চলছে এক ধরণের ‘ভিতরের পাকিস্তানি’ বাস্তবতা।
ইতিহাস বলছে অপমানেই তাদের পতন
বিশ্বের ইতিহাসে বহু স্বৈরশাসক ও লুটেরা শাসকের পতন হয়েছে জনতার ঘৃণা ও বিচারের মধ্য দিয়ে। রোমানিয়ার চাউশেস্কু, লিবিয়ার গাদ্দাফি, ইরাকের সাদ্দাম কেউই সোনায় লেখা রাজা থেকে যায়নি। আজ যারা দেশের সম্মান বিক্রি করছে, তারা মনে করে জনগণ ভীত কিন্তু আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করেছে, বাংলার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে, #রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। আবারও দিতে হবে আবারও সময় এসেছে বলার ও দাবি করার।
আমরা যদি #খুন, লুট ও দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে চুপ থাকি, তবে নীরবতা নিজেই অপরাধের অংশীদার হয়ে দাঁড়ায়। বিপদের মুহূর্তে নীরব থাকা কোনো নিরপেক্ষতা নয় এটি অন্যায়কে শক্তি দেয়। তাই এখন প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব: জাগরণ, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ কিন্তু অটল প্রতিবাদ।
বাংলাদেশ কারও ব্যক্তিগত কোম্পানি নয় এটা শহীদের রক্তে কেনা দেশ। যারা এটাকে লুটতে চায় বা বিক্রি করতে চায়, তাদের ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না। তাদের নাম লেখা থাকবে “বিশ্বাসঘাতক” হিসেবে—এটাই ইতিহাসের রায় হবে।
চুপ করে থাকলে চলবে না। শিষ্টাচারের আড়ালে অন্যায় লুকিয়ে রাখলে চলবে না। নিয়ম-নীতি মেনে, সংগঠিতভাবে ও স্থির পথে এগিয়ে গিয়ে আমরা ন্যায় ফিরিয়ে আনব। আজ প্রত্যেক নাগরিকের কাছে একটাই আহ্বান: জাগুন, কথা বলুন, এক হোন এবং প্রতিবাদ করুন। “হটাও ইউনুস বাচাও দেশ”