জাকির তালুকদার
তিনি সেই মোড়ল যার গ্রামের লোক বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা গেলে সে বলে– আহা একটুর জন্যে চক্ষু দুইটা বাঁইচা গেছে। সাপ চোখে কামড়াইতে পারে নাই।
দেশের মানুষ খাবার কিনতে পারছে না, দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে প্রতিদিন, বিদেশি বিনিয়োগ দূরের কথা দেশি বিনিয়োগই হচ্ছে না, একের পর এক গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে বেকার হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিক, চুরি-ডাকাতি-হাইজ্যাক-ভাসমান পতিতাবৃত্তি বেড়ে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, এই রকম পরিস্থিতিতে তিনি সংস্কারের জিগির নিয়ে আছেন। সংস্কারের নামে প্রসব হচ্ছে অশ্বডিম্ব।
তিনি বড় মানুষ। তাই তার ভাঁওতাগুলো অনেক বড়। ১২-১৩ লক্ষ রোহিঙ্গাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন ঐ বছরে না হলেও এই বছরে তারা ঈদ করবে নিজেদের দেশে, নিজেদের ভিটেতে। সেই কথা মনে পড়লে তিনি কি লজ্জা পান?
কতখানি নির্লজ্জ হলে একটা মানুষ এনসিপি-র মতো ফালতু দলকে টেনেই চলেন! আপনি অসাধারণ মানুষ। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা শোনাই আপনাকে। সেটি হচ্ছে ‘তোলা দুধে পোলা বাঁচে না’। বাঁচলেও পুষ্টিহীন অকাজের বাচ্চা সমাজের বোঝা হয়ে বাঁচে। আপনার এনসিপি-র সেই দশা।
গত বছর জাতিসংঘে আপনার এক কন্যাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। এবার নিয়ে গেছেন দুই কন্যাকে। বহরে নিয়েছেন একশোর বেশি লোককে। হাসিনার জুতা পায়ে গলিয়ে হাসিনার নিন্দা করেন।
শেখ হাসিনার সাথে দুই-চারজন পেয়ারের কবি-সাহিত্যিক নাট্যকারও থাকতেন। জিগ্যেস করেছিলাম– ওখানে আপনাদের কাজ কী? কোনো অধিবেশন বা শেসনে কি অন্য দেশের কবি-নাট্যকারদের সাথে মত বিনিময় হয়? তারা বলেছিলেন হয় না। আমি বিস্মিত হয়ে বলেছিলাম ছত্রিশ ছত্রিশ বাহাত্তর ঘণ্টা বা চব্বিশ চব্বিশ আটচল্লিশ ঘণ্টা ঠ্যাং-পাছা ব্যাদনা করে তাহলে যান কেন? ফিরে আসার পরে তো বউকে দিয়ে আইসি কুল ব্যথানাশক মলম মালিশ করিয়ে নিতে হয়।
উত্তর নাই। তারা যে পেশাতেই থাকেন না কেন, কোনো উত্তর দেবার প্রয়োজন হয় না। যেখানে দেখিবে ছাই… আর কী।
ইউনূস সাহেবের বোধহয় ব্যথা-ট্যাথা হয় না। সিজনড হয়ে গেছে সব পেশি। তাই বিদেশ যাওয়া তার নেশা। এবং পেশাও বটে। কথায় বলে, ভিখিরির পায়েই লক্ষ্মী। ইউনূস সাহেবের বিদেশেই প্রাপ্তি। তার বিদেশ ভ্রমণ মানেই লক্ষ্মী। গত এক বছরে তিনি রাষ্ট্রের টাকায় যত বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, সেই পরিমাণ টাকা খরচ স্বাধীনতার পরে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান করেননি।
তবে এই সময়ে নিজের পদ ব্যবহার করে দেশের লক্ষ্মীকেও যথেষ্ট দোহন করেছেন। আদম ব্যবসার লাইসেন্স থেকে কী নয়! বিবরণ দিয়েছে গতকালের ‘বণিক বার্তা’।
চেয়ারে না বসলে দেশের মানুষ আপনাকে চিনত না মহাজন।