শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি নামে মাত্র কথিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর ও অমানবিক সিদ্ধান্তে আজীবন বহিষ্কার হলেন ২০ শিক্ষার্থী। তারা সবাই ছাত্রলীগ করতেন।
যার মধ্যে ১২ জনকে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং আরও ৮ জনকে অযৌক্তিক অভিযোগে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে ২ থেকে ৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অকাট্য প্রমাণ ছাড়াই, শুধুমাত্র মৌখিক অভিযোগে তাদের বিষয়ে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে শিক্ষার্থীদের অনেকেই অমানবিক ও বেআইনি হিসেবে দেখছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব বহিষ্কার তুচ্ছ ও প্রমাণবিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রশাসন মূলত শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। এতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ই জানুয়ারি শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। আর এবার যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
তবে সংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নিরপরাধ ছিলেন।
অভিযুক্ত ১৯ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রক্টর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য নয়, বরং এটি মানবাধিকার ও শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।