চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ এবং ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রন্টু দাশ, শাস্তিমূলকভাবে বেতন বন্ধ করা হয়েছিল, কারণ তারা জুলাই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দোসররা তাদেরকে মিথ্যাভাবে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে — মিথ্যা লেবেল, বেতন বঞ্চনা, প্রশাসনিক হুমকি ও সামাজিক হয়রানি চলেছে।
তথ্য অনুয়ায়ী, বাঁধন ছেড়ার হয়েছে — কাল। কিন্তু মুক্তি পাওয়া মানে প্রতিরোধ শেষ নয়; এই মুক্তি তুলকি-আলো নয়, বরঞ্জঘটা; কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র যে নির্যাতন করেছিল, সেই নির্যাতন দেশের বহু জায়গায় এখনও অব্যাহত। মিডিয়ার কন্ঠরোধের কারণে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের এসব অপরাধ জনগণ কখনো জানতে পারেনি, আর যারা জানে তাদেরও চেপে রাখা হচ্ছে।
হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ ও রন্টু দাশ শুধু দুই শিক্ষক নন; তারা ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর প্রতীক। তাদের বিরুদ্ধে চালানো এই রাজনৈতিক শাস্তি এবং মিথ্যা লেবেল প্রমাণ করে—আজ শিক্ষক্ষেত্রও রাজনীতির দমনযন্ত্রে বন্দি। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো আজ বিপজ্জনক; কিন্তু এই বিপদে নত হওয়া মানে ন্যায়ের পরাজয়।
আমরা হতাশ বা বিমুখ হব না — মুক্তি পেলেও বিচার না হওয়া পর্যন্ত, এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ফেরত না আনা পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনাকে নজরে রাখব, সামনে আনব এবং প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।