ড. ইউনুস দেশের রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। বর্তমানে তার লক্ষ্য স্পষ্ট—শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরাপদে দেশ ছেড়ে যাওয়া। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা, ক্ষমতার অপব্যবহার, হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস এবং জঙ্গী উত্থানের মতো কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেকে রক্ষা করতে তিনি ইন্ডিমেনিটি চাইছেন। এই উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি বিভিন্ন বিদেশি দরবারের দরজায় ঘুরছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। ড. ইউনুসের আবেদন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দাবি নয়, এটি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপরও চাপ তৈরি করছে। বিদেশিদের কাছে এমন ধরনের অনুরোধ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পর্যায়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে এবং দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
নির্বাচনের আগে ড. ইউনুস পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কূটনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়। দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা তার ছিল, তবে বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক কাঠামো তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে রুখে দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক হলেও ড. ইউনুসের জন্য তা ব্যক্তিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আওয়ামী লীগ বিহীন অবৈধ ভাবে কোন সরকার কার্যকরভাবে শাসন করতে পারবে না এটা ইউনুস বুঝে গেছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কর্মীসহ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি প্রতিরোধ তৈরি করবে। এই বাস্তবতা স্পষ্ট করে যে, বিদেশিদের ধারণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ করার প্রচেষ্টা ড. ইউনুসের জন্য ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় জনগণ এবং আওয়ামী লীগের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে যে, অবৈধ বা অস্থিতিশীল শাসন দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
ড. ইউনুসের পদক্ষেপ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব। দেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি, এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বহির্বিশ্বের বিনিয়োগ ও সহযোগিতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। জঙ্গী উত্থান এবং আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা যেমন দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তেমনি অর্থনৈতিক কার্যক্রমও দুর্বল করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশিদের কাছে ইন্ডিমেনিটির আবেদন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।