মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে (আইটেম ৪) সংস্থাটি এই মন্তব্য করে।
আর্টিকেল ১৯-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মত প্রকাশ ও তথ্যের অধিকার চর্চায় বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর সংকটের মুখে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা নিরাপদে কাজ করতে পারেন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় থাকে।
কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও—যেমন সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল— একাধিক নতুন খসড়া আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গোপনীয়তা এবং অনলাইন অধিকারকে মারাত্মকভাবে সীমিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এসব আইনে সুরক্ষিত বক্তব্যকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, অতিরিক্ত কনটেন্ট অপসারণ, নজরদারি বৃদ্ধি, এবং স্বচ্ছতা ও ন্যায্য প্রক্রিয়ার অভাবের মতো ঝুঁকি বিদ্যমান।
সংস্থাটি অভিযোগ করে বলে, ২০২৫ সালেও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ও খন্দকার শাহ আলম নিহত হয়েছেন।
পাশাপাশি, বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকরা আরও ভয়াবহ ও লিঙ্গনির্ভর ঝুঁকির মুখে রয়েছেন—কর্মক্ষেত্রে হয়রানি থেকে শুরু করে অনলাইনে ধর্ষণের হুমকি ও শারীরিক আক্রমণ পর্যন্ত। বিশেষ করে যারা একাধিক বৈষম্যের শিকার, তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
আর্টিকেল ১৯ ইউনূস সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, খসড়া আইনসমূহ ও বিদ্যমান আইনি কাঠামো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে তা সংস্কার করার জন্য। পাশাপাশি, সাংবাদিকদের ওপর সকল আক্রমণের নিরপেক্ষ, দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং এতে লিঙ্গ ও বৈচিত্র্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়।(সূত্র: বিডি ডাইজেস্ট)