বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। গ্রাম থেকে শহর—সবখানেই একই চিত্র। ক্ষুধা মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময়ের প্রাণবন্ত বাজার নিস্তেজ, দোকানে ক্রেতা নেই, ব্যবসায়ী হতাশ, শ্রমিকেরা বেকার। কোটি কোটি পরিবার এক বেলা খেয়ে, আরেক বেলা না খেয়ে দিন পার করছে। অথচ সরকারের নজর কেবল ক্ষমতার আসন ধরে রাখায় ব্যস্ত।
দেশের মৌলিক চাহিদা ভাত, কাপড়, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা আজ নাগালের বাইরে। দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন কমেছে, চাহিদার তুলনায় যোগান কমেছে। কর্মসংস্থান নেই, তরুণরা হতাশ, মধ্যবিত্ত নিঃস্ব। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নীতি কেবল ক্ষমতার রঙিন আসনে স্থায়ী হবার কৌশল খুঁজছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি একসময় নিজেকে “শান্তির দূত” ও নোবেলজয়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন, আজ তার নেতৃত্বে দমন-পীড়নের রাজনীতি চলছে। পাহাড়ে নিরীহ জনগণের উপর গুলি, ঘরবাড়ি জ্বালানো ও লুটপাট এসব ঘটনার প্রতি তার নীরবতা প্রমাণ করছে, তিনি জনগণের নয়, বিদেশি শক্তির নির্দেশে কাজ করছেন। বিদেশিদের খুশি রাখতে গোপন চুক্তি, মূচলেকা ও কূটনৈতিক নাচানাচি এখন প্রকাশ্যে এসেছে।
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক রক্তাক্ত ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। শিশুদের কান্না, বৃদ্ধদের আর্তনাদ সবই দেখছে জাতি। অথচ সরকার ও প্রশাসন নিস্তব্ধ। এই নীরবতা ক্ষুধার মতোই ভয়ঙ্কর। দীর্ঘদিন নীরব থাকা জনগণের ক্ষুধা একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়।
অর্থনীতির দিক-ভ্রষ্ট অবস্থা আরও মানুষের দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে। উৎপাদন কমেছে, ব্যবসা বন্ধ, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনুস সরকারের ভুল নীতি এবং হিসাব-ভ্রষ্ট অর্থনীতি দেশের মানুষকে আরও গরীব করছে। এটি আর কোনো সাধারণ সংকট নয়; এটি রাষ্ট্রীয় অবহেলার চরম প্রমাণ।
রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো জনগণের জীবন রক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। কিন্তু যারা ক্ষমতার আসন টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশি প্রেসক্রিপশন মেনে চলে, তারা ইতিহাসে কখনো টিকতে পারেনি। আজ বাংলাদেশের মানুষ সেই দিকেই তাকিয়ে আছে।
রাজনীতি ও ক্ষমতার লালসা রাজনৈতিক অলীকতার খেলা চলছে। মানুষের মুখে ভাত না থাকলে ক্ষমতার আসনে বসে থাকা যায় না। পাহাড়ে নিরীহ জনগণের ওপর হামলা, ঢাকা-সারাদেশে দারিদ্র্য, বাজারে দ্রব্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি—সবই প্রমাণ করছে, সরকারের নীতি জনগণের জন্য নয়, ক্ষমতার জন্য পরিচালিত।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা, দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীলকরণ। পাহাড়ি অঞ্চলের নির্যাতিত জনগণের জন্য স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে জনগণের রক্ষক বানাতে হবে, হত্যাকারী নয়।
জনগণ খিদে ও দারিদ্র্যকে সহ্য করছে, কিন্তু নীরবতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতার লালসা, বিদেশি প্রভাব বা অলীক নীতি এসবের চাপে মানুষ আরও ক্ষুধার্ত ও প্রতিরোধী হচ্ছে। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, জনগণ যখন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়ায়, তখন কোনো শাসক অটুট থাকতে পারে না।(সূত্র: আওয়ামীলীগ পেইজ)