শহরের বাজার। রোদ ঝলমল করছে, কিন্তু বাজারে ক্রেতাদের মুখে হতাশার ছাপ। মুদি দোকানগুলোতে মূল পণ্য দামী, অনেকগুলো জিনিসের সরবরাহ অপ্রতুল। আলু, পেঁয়াজ, চাল—সবই ক্রমশ অল্প মজুদ। ক্রেতারা হতাশার সঙ্গে হাটে ঘুরছে, কেউ কেউ চোখে পানি ধরে রাখতে পারছে না। একজন মহিলা বাজার থেকে বের হচ্ছেন, হাতে ব্যাগ, মুখে চিন্তার রেখা। “দাম এত বেশি, কিন্তু বাচ্চাদের জন্য কিনতেই হবে,” তিনি বললেন।
গ্রামের দৃশ্য আরও করুণ। ধানক্ষেতের মাঝখানে কৃষক হাল ধরে দাঁড়িয়ে। সার ও বীজের অভাব উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তার পাশে ছেলে-মেয়ে বসে, হালকা বাতাসে মাথা নত করে। “গত বছর এই সময় আমরা ধান কেটে বাজারে বিক্রি করতে পারতাম, এবার কি হবে জানি না,” মুরাদ আলী নামের কৃষক বললেন। বাজারে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, বিক্রেতা চাঁদাবাজি করছে। উৎপাদন কম, খরচ বেশি।
শহরের রাস্তায় চারপাশে লুটপাটের খবর। গৃহস্থদের নিরাপত্তা নেই। বৃদ্ধা রাস্তার ধারে বসে ঝাঁপিয়ে পড়া যানবাহন দেখে আতঙ্কিত। শিশুদের চোখে ভয়, পিতামাতা আতঙ্কিত। হাসপাতাল, শিক্ষা ও সামাজিক পরিষেবা দুর্বল হয়ে পড়েছে। চারদিকে খুন, লোপাট, সহিংসতার ঘটনা—সবাই আতঙ্কে।
রাজনৈতিক অফিসগুলোও ব্যস্ত। নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতা রক্ষার নাটক চালাচ্ছে। বিএনপি, জামাত, এনসিপি—প্রত্যেকে নিজের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। দেশের প্রধান উপদেষ্টা দেশের অর্থ লোপাট করে বিদেশে পাচার করছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশীদের হাতে ইজারায় দেওয়া হচ্ছে কমিশন খেয়ে। সাধারণ মানুষ এতে ক্রমশ ক্ষুব্ধ। দেশের প্রতি জনরোষ বেড়েই চলেছে।
কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী—সকলেই অস্থির। তারা জানে, অবৈধ ও অদক্ষ সরকার থাকলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে না। বিদেশী বিনিয়োগ আসছে না, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত। সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তারা জানে, ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সংকট ভয়াবহ হতে পারে। বাজারে কিছুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কৃষক হারাচ্ছে আশা, শিশুদের জন্য খাবারের জোগান প্রশ্নবিদ্ধ।
শহরের রাস্তায় মানুষ সরাসরি অভিজ্ঞতা করছে সরকারের ব্যর্থতা। একজন বৃদ্ধ বললেন, “যে সরকার আমাদের রক্ষা করবে, তারা নিজেদের লুটপাটে ব্যস্ত। আমরা কি শুধু দেখব? আমাদের সন্তান কি খাবে?” গ্রামের বাজারেও একই চিত্র। শিশুদের চোখে উৎকণ্ঠা, মায়ের চোখে আতঙ্ক, কৃষকের কাঁদতে কাঁদতে ধানক্ষেতে দাঁড়ানো—সব মিলিয়ে একটি প্রায়নির্ভুল ছবি।
দেশের অবস্থা প্রমাণ করছে, রাজনৈতিক নেতারা যদি শুধু ক্ষমতার দখল ও স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়বে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ না হলে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এই সংকটের সমাধান হলো: ন্যায্য বণ্টন, উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করা। সাধারণ মানুষ, কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা এখন সময়ের প্রধান দাবি।
গ্রামের ছোট ছোট রাস্তা থেকে শহরের ব্যস্ত বাজার পর্যন্ত, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চোখে পড়ার মতো। সরকারের অবহেলা, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং অযোগ্যতা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। তবে এখনো সময় আছে—যদি রাজনৈতিক নেতারা নাটক ও স্বার্থপর কৌশল থেকে সরে দাঁড়ান, দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। না হলে দেশের জনদুর্ভোগ, খাদ্য সংকট এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।
