।।হামিদ মোহাম্মদ।।
গতকাল ৩১ অক্টোবর বিকালে পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’র মাসব্যাপী আয়োজনের উদ্ধোধন হয়েছে। উদ্ধোধনের পর নাট্য সংগঠন ‘ডিসমিস’এর প্রযোজিত নাটক ‘এ এন্তোলজি অব কাইন্ডনেস’ মঞ্চস্থ হয়। এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘কাইন্ডনেস’।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নাট্য বিভাগের কর্মকর্তা কাজী রোকসানা বেগম। বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটসের হেড অব আর্টস-ক্যাথারিন বয়ড, কুইমেরী ইউনির্ভাসিটির ড্রামা ডিপার্টমেন্টের আলী ক্যামবেল এবং সংস্কৃতিকর্মী খাদিজা রহমান।

সমগ্র উতসবটি স্পনসরে রয়েছে কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন,জয়তুন ক্যাটারার, সেন্ট মার্গারেট হাউস। সহযোগিতায় আছেন নাট্য নিদের্শক ড. ক্যানান সালেহ, রোকসানা খান ও সুদীপ চক্রবর্তী।
অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে শুরু হওয়া নাট্য উতসবের প্রথম দিনে নাট্যমোদী বাংলাভাষী ছাড়াও মূলধারার দর্শক শ্রোতার উপস্থিতি ছিল প্রচুর। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের আগে উপস্থিত দর্শকদের মজাদার খাবার পরিবেশন করে আপ্যায়িত করা হয়। উপভোগ্য খাবার খেয়ে নাটক দেখেন সকলে। বন্ধুত্ব ও সৌহার্দে পরিপূর্ণ এমন সাংস্কৃতিক পরিবেশ প্রতিবছর নভেম্বর মাস এলেই প্রবাসী বাঙালিরা মুখরিত হয়ে ওঠেন।

মঞ্চস্থ নাটক ‘এন্থালজি অব কাইন্ডনেস’ দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হন। নাটকে কয়েকটি পরিবারের পরপর সংযোজিত কাহিনি এমনভবে সাজানো হয়, যেখানে পরিবারের সংকট, দ্বন্ধ, প্রেম, বোহেমিয়ানপনাসহ সব কিছুতে যে মানবিক বিপর্যয় রয়েছে, তা নিরশনের একমাত্র উপায় ‘কাইন্ডনেস’। অতি চমতকারভাবে প্রদর্শিত নাটকের দৃশ্যান্তরে জানান দেওয়া হয়, মানবিকতাই শেষ ভরসা।
নাটকে যারা অভিনয় করেছেন তারা বেশিরভাগেই বাঙালির নতুন প্রজন্মের সন্তান। এছাড়া রয়েছেন কয়েকজন মূলধারার শ্বেতাঙ্গ নাট্য শিল্পী।ইংরেজি ভাষায় নির্মিত এ নাটকে মূলত অভিবাসী সম্প্রদায়সহ বর্তমান ব্রিটিশ সমাজ ব্যবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে।

উল্লেখ্য,২০০৩ সাল থেকে লন্ডনে মাসব্যাপী ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ উতসব শুরু করতে নাট্য বোদ্ধা ও গীতিকার আস ম নেসওয়ারের প্রধান ভূমিকা স্মরণযোগ্য।



