সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) রায় দেশবাসীর সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে এক বিবৃতি প্রদান ও অবৈধ সরকারে পদত্যাগের দাবীতে কর্ম সূচী দিয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন,১৯-২১ নভেম্বর : সারা দেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবাসীর সঙ্গে আমরা গভীর ক্ষোভ ও বেদনাহত চিত্তে লক্ষ করছি যে, নির্বাচিত সরকারের স্থলে অবৈধ অসাংবিধানিক অনির্বাচিত খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। অতঃপর বিশ্বজনস্বীকৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি, বিদ্বেষপ্রসূত, প্রতিহিংসামূলক এবং প্রতিশোধপরায়ণও বটে। ফ্যাসিস্ট ইউনূস দখলকৃত ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে অবৈধ আইসিটি কর্তৃক পরিচালিত বিচার কার্য ইতিমধ্যে প্রহসন হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। মূলত অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইসিটি গঠনে সাংবিধানিক ও আইনি পক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। কারণ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার্যোগ্য (যেমন- মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যা) সংঘটিত হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের দেশের সংবিধান মোতাবেক একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিধান রয়েছে। দেশের বর্তমান সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। তাই এই প্রহসনের বিচার সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি সরকার নিযুক্ত আইনজীবী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একবারের জন্য যোগাযোগও করেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর ক্ষোভ, উদ্বেগ, দুঃখ ও বেদনাহত চিত্তে এই বিদ্বেষপ্রসূত, প্রতিশোধপরায়ণ ও প্রতিহিংসামূলক রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি এই রায়ের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। একইসাথে জানাচ্ছি, আমাদের চলমান শাটডাউন কর্মসূচি আগামীকাল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পতন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
কর্মসূচি :
১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন,১৯-২১ নভেম্বর : সারা দেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ।
