শেখ হাসিনার উপর দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমার ভীষণ রকম রাগ ও অভিমান। শেখ হাসিনার মতো আমার বুকেও জমাটবাঁধা কষ্ট ও ক্ষোভ। কিন্তু যতবার শেখ হাসিনার অশ্রুসজল চেহারা দেখি ততবার শেখ হাসিনার জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিতে আমি/ আমরা দাঁড়িয়ে যাই। কিন্তু শেখ হাসিনা কি কখনো বুঝতে পেরেছিলেন, আমরা ছাড়া শেখ হাসিনা অসম্পূর্ণ?
শেখ হাসিনা জীবন বাঁচানোর অক্সিজেন হলে রাজপথে আমরা ছিলাম হাইড্রোজেন। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের মিলন ছাড়া জল সৃষ্টি অসম্ভব।জল ছাড়া প্রাণ সৃষ্টি অসম্ভব। তবে কেন আমাদের দূরে সরে যেতে হলো? তিনি কি একটিবারের জন্যও বুঝতে পারেননি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকার বায়ুমণ্ডল অসম্ভব।
খুব কেঁদেছি আজ পরাজিত শক্তির অহংকার দেখে।
আমি জানি আপনিও হয়তো নিরবে আমার মতো চোখের জল ফেলছেন।যে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য আপনি আপনার সন্তান , জীবন ও যৌবন সব ত্যাগ করলেন তারাই আজ উপহাস করছে। আমরাও আপনার জন্য আমাদের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলাম। তবে ওরা কারা যারা আপনার সন্তানদের আপনার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলো?
হাইড্রোজেনের জন্ম না হলে মহাবিশ্বে হিলিয়ামের জন্ম হতো না। হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিলন না হলে মহাকাশে কোন নক্ষত্রের সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশে অক্সিজেন হয়ে প্রাণসঞ্চার করেছেন। আপনি এই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন পরম মমতায়। কিন্তু আপনার বোঝা উচিত ছিলো হাইড্রোজেন ছাড়া আপনি অসম্পূর্ণ। হাইড্রোজেন ছাড়া এই মহাবিশ্ব , পৃথিবী ও বাংলাদেশ কোনকিছুই গতি পায় না। আপনি শুধু আমাদের জীবিত রাখতেন তবে এই দেশে শত হাজার বছরেও কেউ শেখ হাসিনার জন্য কোন টমেটো আদালত বসানোর সাহস পেতো না। আমরা তো আপনার জন্য , বাংলাদেশের জন্য আমাদের সব সুখ ও ঐশ্বর্য বিসর্জন দিয়েছিলাম 🥲
আপনি আপনার সন্তানদের আবার বুকে জড়িয়ে নিন।ওই খন্দকার মোশতাকদের চিহ্নিত করুন। আমরাই আপনার বাংলাদেশের জ্বালানি। আমাদের হৃদয়ের কষ্ট অনুভব করুন।ওরা আজ শেখ হাসিনাকে অপমান করেনি , ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আপনার এই মিছিলে সমগ্র বাংলাদেশ আজ আপনার সাথে আছে।আপনি শধু শত্রু ও বন্ধু চিনে নিন।
আপা , ২০০১ সালে আমরা যেমন করে হাসতে হাসতে আপনার জন্য বুক পেতেছি , ৯০ সালে আমাদের বড় ভাইয়েরা যেমন করে আপনার জন্য জীবন দিয়েছে, ষাট ও সত্তরের দশকে আমাদের পিতারা যেমন করে আপনাকে বুকে আগলে রেখেছে, আপনি শুধু একবার তাদের হৃদয় থেকে ডাক দিয়ে দেখুন। একবার আমাদের সাথে কথা বলুন।
কথা দিচ্ছি, জীবন দিয়ে হলেও ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বানিয়ে দিবো।
আমরা জানি কীভাবে সংগ্রাম করতে হয় , অপশক্তির বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হয়, কীভাবে বুকের রক্ত দিয়ে দেশটা রক্ষা করতে হয়। আপনার এই অসমাপ্ত যুদ্ধ শেষ করতে ফার্মের মুরগী নয় , হাইড্রোজেন জ্বালানি প্রয়োজন। দেশপ্রেমের বারুদ দিয়ে আমাদের যতো জ্বালাবেন আমরা ততো হিলিয়ামে পরিণত হবো। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম মিলে আমরাই বাংলাদেশের আকাশে শেখ হাসিনা নামক নতুন একক নক্ষত্রের জন্ম দিবো। নক্ষত্রের যেমন মৃত্যু হয় না , তেমনি শেখ হাসিনারও মৃত্যু নেই। নতুন কোন নেবুলা হয়ে আপনি বারবার এই বাংলায় ফিরে আসবেন। আপনার দেশে ফিরে আসার সেই পথটাই আমরা তৈরি করবো। শেখ হাসিনার রাজকীয় এক প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নাও বাংলাদেশ।।
দেশপ্রেমের হাইড্রোজেন ছাড়া এই বাংলাদেশ বাঁচানো অসম্ভব। রাজাকারদের শেকড় বাংলার মাটি থেকে উৎখাতের একমাত্র ওষুধ হচ্ছে দেশপ্রেমের হাইড্রোজেন। শেখ হাসিনা বাঙালির অক্সিজেন। শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের।শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ অসম্পূর্ণ।শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও আমাদের। দেশপ্রেমের হাইড্রোজেন হয়ে মৃত্যুর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমরাই শেখ হাসিনার নিরাপত্তা দিবো।
লুসিড ড্রিমদের কান্না আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন ?
সত্য সবসময় সুন্দর
লুসিড ড্রিম
