অনিন্দ্য জয়
পাকিস্তানে ভিক্ষুকের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন, অর্থাৎ চার কোটির কাছাকাছি। যা মূলত দেশটির জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ বা প্রতি ছয় জনে একজন ভিক্ষুক। এটি শুধু দারিদ্র্যের পরিসংখ্যান নয়; এটি একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভেঙে পড়ার জীবন্ত প্রমাণ।
আরও ভয়াবহ বিষয় হলো–
▪️ পাকিস্তানের ভিক্ষাবৃত্তি এখন একটি সংগঠিত শিল্পে পরিণত হয়েছে।
▪️ মানবপাচার চক্র, মাফিয়া গ্রুপ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন মিলেই এই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ নিয়ন্ত্রণ করছে।
▪️ এমনকি নানা রিপোর্টে দেখা গেছে– ভিক্ষুকদের উৎপাদিত আয় এখন পাকিস্তানের জিডিপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এটা তখনই ঘটে যখন– অর্থনীতি ভেঙে পড়ে, কর্মসংস্থান বন্ধ হয়, দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয় এবং সরকার প্রতিষ্ঠানে গণমানুষের কোনো মালিকানা থাকে না।
বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাতে সেই একই পাকিস্তানি পথের লক্ষণ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে–
১) অর্থনীতি ভেঙে পড়লে মানুষের প্রথম আশ্রয় হয় ভিক্ষাবৃত্তি। বাংলাদেশেও আজ– মধ্যবিত্ত স্লাইড করে নিম্নবিত্তে, নিম্নবিত্ত স্লাইড করে দরিদ্রে, আর দরিদ্ররা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে রাস্তায়।
২) পাকিস্তানে যেমন বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা– সব কিছুই রাজনৈতিক মাফিয়ার নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশেও আজ একই চিত্র– অবৈধ শাসক, অনির্বাচিত কাঠামো ও দলীয় বাহিনী রাষ্ট্রকে যেভাবে দখলে নিয়েছে, তা পাকিস্তানের দুঃসময়কেই মনে করিয়ে দেয়।
৩) পাকিস্তানে মানুষ উৎপাদনমুখী কাজ ছেড়ে ভিক্ষাকে পেশা করেছে। কারণ– রাষ্ট্র তাদের কাজের সুযোগ দেয়নি। বাংলাদেশেও এখন– বিনিয়োগ কমে গেছে, শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, চাকরি নেই। তাই মানুষ বাধ্য হচ্ছে অপ্রদর্শনশীল খাতে ঝুঁকতে। পরিণতি পাকিস্তানের মতোই।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধ্বংস আজ বিশ্বে “কেস স্টাডি”– যেখানে ভিক্ষা একটি “শিল্প” হয়ে গেছে। দুর্নীতি, অবৈধ শাসন, রাজনৈতিক দমননীতি এবং অর্থনৈতিক লুটপাটের কারণে একটি পুরো জাতি ভিক্ষুক হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার দেশকে সেই একই পথেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আজ সতর্ক না হলে আগামী প্রজন্মকেই বর্তমান পাকিস্তানের মতো ভিক্ষাবৃত্তির ওপর জীবিকা নির্ভর করতে হবে।
