দেশবাসী গভীর উদ্বেগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করছে যে, অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং শান্তির জনপদ বাংলাদেশকে লাশের ভাগাড়ে পরিণত করেছে। সবকিছুর মূল্য দিনকে দিন বৃদ্ধি পেলেও মানুষের জীবনের যেনো কোনো মূল্য নেই। অবরুদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায় আজ স্বজন হারানোর আহাজারি। হাটের পথে, মাঠের বাকে, নদীর মোহনায়, বাড়ির আঙিনায়, ঘরের বিছানায় সর্বত্র লাশের ছড়াছড়ি। রক্তখেকো ইউনূস গংদের দেশ ধ্বংসের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে অকথ্যা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমনকি নির্বিচারে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।
পরিকল্পিত নীলনকশার মাধ্যমে নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত বিরতিতে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা তারিক রিফাতকে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিনকে হত্যা করা হয়। এভাবে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আবার অনিরাপদ বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জানমালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা রক্তপিপাসু দানবীয় ইউনুস গংদের এই সিরিয়াল কিলিংয়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আজ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ন্যায় বিচার প্রাপ্তি তো দূরের কথা। থানায় মামলাও দায়ের করতে পারে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে দৃঢ়তা সঙ্গে বলতে চাই, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এ সকল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
