অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এবং ফ্যাসিবাদী রাজনীতির ধারক, বর্তমান অসাংবিধানিক সরকার তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক আইনি প্রহসন মঞ্চস্থ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দৌহিত্র এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং নিন্দা জানাচ্ছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্মূল করাই অবৈধ সরকারের মূল লক্ষ্য।
সজীব ওয়াজেদ জয় এই বিচারিক প্রহসনের বিরুদ্ধে যে সাহসী ও বলিষ্ঠ বিবৃতি দিয়েছেন, তা দেশের বর্তমান অবৈধ বিচার ব্যবস্থার প্রতি গোটা জাতির মনোভাবের প্রতিফলন। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, এই বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিপূর্ণ, প্রহসনমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যে ব্যক্তি তার মেধা, শ্রম ও দূরদর্শিতা দিয়ে দেশকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিকতার পথে চালিত করেছেন, তাঁকে ইন্টারনেট বন্ধের মতো একটি প্রশাসনিক বিষয়ের দায় চাপিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো চরম অভিযোগ আনা শুধুমাত্র হাস্যকরই নয়, এটি একটি অসুস্থ মস্তিষ্কের চরম প্রতিহিংসা। ছাত্রলীগ বিশ্বাস করে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই দৃঢ় প্রতিবাদ জনগণের আস্থা ও সত্যের প্রতিচ্ছবি এবং এই অবৈধ সরকারের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী হুঙ্কার।
লোক-দেখানো বিচারালয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়-এর বিরুদ্ধে চলমান বিচার ও পরোয়ানা জারি বাংলাদেশের সংবিধান, আন্তর্জাতিক আইন এবং স্বাভাবিক বিচারিক প্রক্রিয়ার বহু মৌলিক নীতি লঙ্ঘন করেছে। প্রথমত, বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করা, অবৈধ প্রক্রিয়া, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ভিত্তিতে গঠিত সরকার বা বিচার ব্যবস্থার কোনো সাংবিধানিক বা আইনি ভিত্তি নেই। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে, জাল স্বাক্ষরে গঠিত সরকারের অধীনে বিচারিক কার্যক্রম কখনোই আন্তর্জাতিকভাবে বৈধতা পায় না। এসব রায় বা পরোয়ানা তাই শুরু থেকেই বাতিল বলে গণ্য। দ্বিতীয়ত, যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মূলত একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত, তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশাসনিক বিষয়কে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে দেখিয়ে এই ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা ট্রাইব্যুনাল আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তৃতীয়ত, পলাতক দেখিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়-কে তাঁর অনুপস্থিতিতে দোষী সাব্যস্ত করার প্রক্রিয়া, আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার (Right to Defence) থেকে বঞ্চিত করা এবং পর্যাপ্ত আইনি সুযোগ না দেওয়া প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের (Natural Justice) মৌলিক নীতির চরম লঙ্ঘন। এটি একটি প্রহসনমূলক বিচারের সবচেয়ে বড় প্রমাণ। চতুর্থত, “ক্যাঙ্গারু কোর্ট” এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো পূর্বনির্ধারিত রায় (Pre-determined Verdict)। বর্তমান বিচারিক প্রক্রিয়ার গতি ও রায় প্রদানের ক্ষেত্রে বিচারকের পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে যে এটি স্বাভাবিক বিচার নয়, বরং ক্ষমতাসীন অবৈধ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ইচ্ছার বাস্তবায়ন। যে সরকার খুনীদের ইনডেমনিটি দেয়, সে সরকার ন্যায়বিচারের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে, এটি মনে করার কোন কারণ নেই।
সজীব ওয়াজেদ জয়-এর বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে আরও একবার উন্মোচিত করল। ছাত্রলীগ এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং এই আইন ও সংবিধানবিরোধী অপশক্তিকে সমূলে উৎখাত করার জন্য চূড়ান্ত লড়াইয়ের আহ্বান জানাচ্ছে। জাতির জনকের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আমরা এই অপশক্তির পতন নিশ্চিত করব।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
