সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
বাংলাদেশ নামটি আজ শুধু একটি রাষ্ট্রের নাম নয়, এটি আমাদের পরিচয়, আত্মমর্যাদা, এবং অস্তিত্বের প্রতীক। এই নামটি প্রস্তাব করেছিলেন যিনি, যিনি কল্পনায় এঁকেছিলেন স্বাধীন বাংলার মানচিত্র তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু।কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, আজও কিছু অপশক্তি, পাকিস্তানি ভাবধারার দোসররা বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। তারা বুঝে না, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি আদর্শ, একটি চেতনা, একটি জাতির আত্মার নাম।১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ। সেই সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ‘ছয় দফা’ ছিল স্বাধীনতার রূপরেখা, তার কণ্ঠ ছিল বাংলার মুক্তির…
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৫ সালের ৩ জুনের তারিখটি মনে রাখবে এই দেশের মানুষ—একটি রাষ্ট্র তার আত্মার চিহ্ন মুছে ফেলেছিল যেদিন, এক অধ্যাদেশ জারি করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ—এই নামগুলো শুধু ব্যক্তি নয়, একেকটা স্বাধীন বাংলাদেশের স্তম্ভ। সেই স্তম্ভে হাত দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছে যে গোষ্ঠী, তারা আসলে এই দেশের শত্রু বললে কম বলা হয়। তারা এই দেশের খোলস পরে এমন এক বিকৃত আত্মা বহন করে, যার উৎস ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি, পাকিস্তানি ভাবাদর্শ আর তাদের বিদেশি দাতারা। এই যে অধ্যাদেশ জারি করে মুক্তিযুদ্ধের নেতা ও প্রবাসী সরকারের নীতিনির্ধারকদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় মুছে ফেলা হলো—এটা নিছক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত…
“আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে।”এই বাক্যটি এখন আর কোনো আবেগনির্ভর প্রতিক্রিয়া নয় এটা বাস্তবতার নগ্ন স্বীকারোক্তি।আমরা যারা এদেশকে ভালোবাসি, যাদের শিকড় এই মাটিতে, তাদের জন্য আজকের বাংলাদেশ এক অচেনা উপাখ্যান।একদিন হঠাৎ টের পেলাম এই দেশটা আর আমাদের নেই।আমাদের চোখের সামনেই বদলে গেছে সবকিছু নীতিনৈতিকতা, প্রশাসন, বিচার, শিক্ষা, গণমাধ্যম, এমনকি মানুষের চিন্তাভাবনাও।কিন্তু আমরা বুঝতেই পারিনি কখন এই দেশ হাতছাড়া হয়ে গেছে।আজ আমাদের চিন্তাটাও আমাদের নয়।আমাদের স্বপ্ন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সবই নিয়ন্ত্রিত হয় এমন এক অদৃশ্য শক্তির দ্বারা যারা আমাদের হয়ে কথা বলে, কিন্তু আমাদের কণ্ঠ নয়।তারা আমাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু আমাদের জীবনের কোনো দায় নেয় না।”আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে,”কারণ…
৪ঠা জুন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র দখলকারী ফ্যাসিস্ট ইউনূসকে লন্ডনে প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য কৃষক লীগ। যুক্তরাজ্য কৃষক লীগ আয়োজিত সভায় বক্তারা আরো বলেন, অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলার মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ…
জুলাই আন্দোলনকে কেন গণঅভ্যুত্থান না বলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মনে করা হয় তার কারণ হলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মনোভাবকে স্পষ্ট করা এবং ইতিহাস মুছে ফেলার দৃশ্যমান প্রয়াস। জুলাই ষড়যন্ত্রে দেশবিরোধী প্রধান অপশক্তি জামায়াত শিবিরের সম্পৃক্ততা আন্দোলন নামক এই ষড়যন্ত্রকে ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই রাজাকার বংশধরদেরই ছায়াতলে নেতৃত্ব দানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ এনসিপির বিভিন্ন জঙ্গীদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মনোভাব জানান দেয় কথিত আন্দোলনটি কতটা দেশবিরোধী ছিলো। আগস্টের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত ভাস্কর্য ভাংচুর থেকে শুরু করে ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রহার সহ নানা অপতৎপরতা প্রকট হচ্ছে। এবার নতুন করে সংযোজিত হলো বরগুনার শহীদ মিনারে গরুর হাট, জুতা পায়ে বেদীতে পদাচরণ এবং পান-সিগারেটের…
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায়ের সূচনা হলো ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে। এই সরকার রাষ্ট্রপতির আদেশে যে অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ শত শত ১৯৭০ সালের নির্বাচিত রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করেছে, তা ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, জাতির সঙ্গে প্রতারণা, এবং শহীদের রক্তের প্রতি চরম অবমাননার নামান্তর। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। এটি কোনো প্রশাসনিক ‘ব্যত্যয়’ নয় এটি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যার লক্ষ্য বাংলাদেশকে তার শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা এবং পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। *ড. ইউনুসের মুখোশ খুলে গেছে* যিনি বিদেশি চক্রের…
ঘড়ির কাঁটা যখন মধ্যরাত ছুঁয়েছে, তখন সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে চলছে পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। কালী মন্দির—একটি সার্বজনীন, বহু বছরের পুরোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান—ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে শতাধিক দুর্বৃত্ত। প্রতিমা, ছবি, সীমানা দেয়াল—সব কিছু ধূলিসাৎ করে, ওই জমিতে রাতারাতি গজিয়ে উঠেছে নতুন এক প্রাচীর। যে জায়গাটি ছিল পূজার থানে, তা এখন শক্তি ও দখলের বেদীমূর্তি। এটা নিছক ভূমিদস্যুতা নয়। এটা নিছক ধর্মীয় সহনশীলতার অভাবও নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ছত্রচ্ছায়ায় চলমান একপ্রকার ইসলামি মৌলবাদী শাসনের নগ্ন প্রকাশ, যেখানে সংখ্যালঘু হওয়াটাই অপরাধ। যেখানে হিন্দু মন্দির মানেই ফাঁকা জায়গা—যা যেকোনো সময় দখল করা যায়, ভাঙা যায়, মুছে ফেলা যায়। এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। এটা ধারাবাহিকতার অংশ। দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের…
স্বীকার করি—লিচু আমার সবচেয়ে প্রিয় ফল নয়। হ্যাঁ, এটা শুনে অনেকে চমকে উঠতে পারেন। কারণ, আমরা সবাই জানি, গ্রীষ্মের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলগুলোর একটি লিচু। ছোট্ট লাল রঙের খোসার নিচে লুকানো থাকে মিষ্টি স্বাদ। কিন্তু তবু জানি না, কেন আমি কখনো লিচুতে তেমন একটা মুগ্ধ হইনি। তবে এই লিচুই আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ফল হয়ে থাকবে। কেন? কেন তা তো নিশ্চয়ই আপনারা এতক্ষণে বুঝে গেছেন। আমার জীবনের প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমার প্রথম পারফর্ম করা গানের নামই ‘লিচুর বাগানে’। মঙ্গল মিয়া, আলেয়া বেগম, প্রীতম হাসান, জেফার রহমান—কী দুর্দান্ত গেয়েছেন সবাই! সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো দর্শক পর্দায় মেগাস্টার শাকিব খান ও আমার রসায়ন দেখেছেন।…
করোনা মহামারীর অর্থবছর বাদে দেশে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমেছে গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, কর্মসংস্থান কমছে, বিনিয়োগে চরম স্থবিরতা—যদি এটাই হয় সংস্কার, তবে এই পরিকল্পনার আসল উদ্দেশ্য জনগণের নয়, বরং ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা! ——- বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল জায়গায় দাঁড়িয়ে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৯৭ শতাংশ, যা স্বাভাবিক সময়ের হিসেবে প্রায় তলানিতে। বেসরকারি বিনিয়োগ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর সবচেয়ে কম। মূল্যস্ফীতি টানা তিন বছর ধরে ১০ শতাংশের আশপাশে, মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে, আয়বৈষম্য বেড়েছে, শ্রমশক্তি থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। অর্থনীতির এই ধ্বসতুল্য চিত্র সামনে নিয়েই ‘সংস্কার’ নামের এক অভিনব প্রতারণা চালাচ্ছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ।…
এস এ সাব্বির—একজন প্রগতিশীল চিন্তাবিদ ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গভীরভাবে বিশ্বাসী একজন যোদ্ধা। তার লড়াইটা শুরু হয় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে একাত্তর বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে । সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ইউটিউবে তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তির মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সেই অপশক্তির ছলচাতুরী, অপপ্রচার এবং “জুলাইয়ের মেটিকুলাস ডিজাইন”–এর অন্তরালের সত্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট, যুক্তিনির্ভর ও রুচিসম্মতভাবে উপস্থাপন করে আসছিলেন। তার এই চিন্তাশীল প্রচেষ্টা যখন একটি মহলে নাড়া দেয় তখনই তিনি হঠাৎ করে নিখোঁজ হন এবং পরবর্তীতে জানা যায়—তিনি বর্তমানে কারাগারে বন্দি। দেশে এখন কেউ তার নিজস্ব স্যোশাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মেও বাক স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারবেনা। এস এ সাব্বিরকে আটক তারই প্রমান।