সামাজিক মাধ্যম থেকে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের ব্যান করে দেওয়া একটি অভিনব আইডিয়া। বিগত বহু বছর ধরেই এই চেষ্টা করে চলেছে বিশ্বের প্রতিটি অভিভাবক। কিন্তু বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল রেখে এই কাজটি অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ।
ডিজিটাল যুগে শিশুদের সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে রাখা কঠিন কাজ। যদি এই কাজটি করা যায় তবে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকশিত হবে। কিন্তু বিষয়টি অত সহজ নয়। প্রতিদিন শিশুরা ডিজিটালের সঙ্গে তাল রেখে কাজ করছে। সেখানে তাঁদের পড়া থেকে শুরু করে নানা ধরণের কাজের ক্ষেত্র সবই ডিজিটালভাবে যুক্ত রয়েছে। এই ক্ষেত্র থেকে শিশুদের বের করে আনতে হলে তাঁদের সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেখানে তারা মোবাইলের প্রতি আসক্তি দেখাবে না।
দিনের অন্য কাজের মধ্যে যদি শিশুরা নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারে তবে সামাজিক মাধ্যম থেকে তাঁরা নিজেরকে দূরে রাখবে। কিন্তু বর্তমানে সময়ে প্রতিটি অভিভাবক মনে করেন ডিজিটালভাবে তাঁদের শিশুরা যদি যুক্ত থাকেন তবে তারা আগামীদিনে অনেক বেশি স্মার্ট হতে পারবে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াতে এবিষয়ে একটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেখানে তাঁরা শিশুদের সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা ভাবছেন।
শিশুদের মানসিক বিকাশ বিকাশে বিঘ্ন ঘটছে বলেই এই পদক্ষেপের পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনাকালের পর থেকে গোটা বিশ্ব ডিজিটাল যুগকে মনেপ্রাণে মেনে নিয়েছে। তাই সেখান থেকে ফের তাঁদের সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া অতি কঠিন কাজ। আসক্তি নয়, প্রয়োজন অনুসারেই ব্যবহার করতে হবে সামাজিক মাধ্যমকে। তবেই শিশুদের জীবনের উন্নতি সম্ভব। গবেষণায় সেটাই উঠে এসেছে।