সংবিধান সংস্কার কমিশন ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি’- সংবিধানের এই ধারা বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা নিয়ে দৈনিক মানব জমিন একটি প্রতিবেদন ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
’সংবিধান সংস্কার কমিশন ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি’- সংবিধানের এই ধারা বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ বাঙালিগণও বাঙালি হিসেবে আত্মপরিচয় দিতে পারবে না। জাতিকে নাগরিক পরিচয়ে বলি দেয়া যায় না, তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বহু জাতির সমন্বয়ে একটি রাষ্ট্র হতে পারে, আবার এক জাতিরও বহু রাষ্ট্র হতে পারে। এ ছাড়া জাতিরাষ্ট্রের অস্তিত্বও আছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন দক্ষতা ও প্রাজ্ঞতার সঙ্গে অনেক ভালো প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা অভিনন্দনযোগ্য কিন্তু একটি আত্মঘাতী প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে, তা হলো- ‘বাঙালি’ জাতির অস্তিত্বকে সাংবিধানিকভাবে মুছে দেয়া। জাতিগত পরিচয়কে নাগরিক পরিচয়ে আত্মসাৎ করার কৃত্রিম উপায় উদ্ভাবন করার মাধ্যমে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ জাতি ও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ। এটা পাকিস্তানিও নয়, ভারতীয়ও নয়। বাংলা ভাষা থাকবে, রাষ্ট্রের ভাষা বাংলা বাধ্যতামূলক হবে অথচ বাঙালি জাতি বা জাতীয়তাবাদ থাকবে না, এটা বাস্তবতার বিপরীত। সংগ্রাম-লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়, সমগ্র জনগণের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করে। জাতীয়তাবাদ সার্বিক মুক্তির নিরন্তর লড়াই।’