Close Menu

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    জনপ্রিয় সংবাদ

    মুরাদনগরের লজ্জা: ধর্ষক ধর্ষকই, নেই অন্য পরিচয়

    July 1, 2025

    মঈনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (ESTD-১৯২৮) প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর ব্যতিক্রমী প্রশংসনীয় উদ্যোগ

    July 1, 2025

    আসিফ মাহমুদ সজীবের যত কাণ্ড

    July 1, 2025
    Facebook Instagram WhatsApp TikTok
    Facebook Instagram YouTube TikTok
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Subscribe
    • হোম পেইজ
    • বিষয়
      • দেশ (Bangladesh)
      • আন্তজাতিক (International)
      • জাতীয় (National)
      • রাজনীতি (Politics)
      • অথনীতি (Economy)
      • খেলা (Sports)
      • বিনোদন (Entertainment)
      • লাইফ স্টাইল (Lifestyle)
      • শিক্ষাঙ্গন (Education)
      • টেক (Technology)
      • ধম (Religion)
      • পরবাস (Diaspora)
      • সাক্ষাৎকার (Interview)
      • শিল্প- সাহিত্য (Art & Culture)
      • সম্পাদকীয় (Editorial)
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ করুন
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Home » বাধার মুখে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
    Art & Culture

    বাধার মুখে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

    JoyBangla EditorBy JoyBangla EditorFebruary 17, 2025Updated:February 17, 2025No Comments7 Mins Read
    Facebook WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook WhatsApp Copy Link

    মরিয়ম সুলতানা, বিবিসি নিউজ বাংলা

    ঢাকার উত্তরায় বাধার মুখে একটি উৎসবের আয়োজন পণ্ড হওয়ার একদিনের মধ্যে একই কারণে স্থগিত হয়েছে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’। অনুষ্ঠানটি ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদল লোকের বাধার মুখে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় আয়োজকরা।

    এর একদিন আগে প্রতি বছরের মতো উত্তরায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সবরকম প্রস্তুতির পরও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রেও একদল লোকের দাবির মুখে আয়োজকরা এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বাংলাদেশের ১৪ই ফেব্রুয়ারি একযোগে পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালনের সময় এই দুই উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ওই এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

    এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির কাছ থেকে বাধা আসলেও এসব ঘটনা মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনা দমাতে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ গত পাঁচই অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, ‘তৌহিদী জনতা’ নামে ‘একদল লোক’ এগুলো ঘটাচ্ছে।

    তোপের মুখে নাট্য উৎসব বন্ধ ঢাকায়

    শনিবার বিকাল পাঁচটায় ঢাকার মহিলা সমিতি মিলনায়তনে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’ উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।

    ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নাট্য উৎসব চলার কথা ছিল।

    কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে ‘কিছু লোক’ এসে উৎসব নিয়ে আপত্তি তুলেছে এবং হামলা করারও হুমকি দিয়েছে। তাই সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও তা করা যায়নি বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদ।

    এই ঘটনার প্রেক্ষাপট জানিয়ে আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত দুই মাস ধরে ৮৫টি নাট্যদলের কর্মীরা এই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।

    কিন্তু অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন যখন প্রায় সম্পন্ন, তখন ১৪ই ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির কর্মকর্তারা তাদেরকে জানায়, রমনা থানা থেকে ফোন করে এই উৎসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেন।

    যদিও সমিতি থেকে ওই কথা জানানোর পর তারা থানার ওসির সাথে গিয়ে দেখা করেন এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে থানায় একটি আবেদনপত্র জমা দেন।

    থানা’র ওসির সাথে সাক্ষাতের কথা বর্ণণা করার সময় উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ওসি সাহেব সব শুনে আশ্বস্ত করেন। বলেন, আমরা চাই উৎসবগুলো হোক। কিন্তু একটু অসুবিধা আছে, একটা নাটক বাদ দিতে হবে।”

    পায়ের আওয়াজ পায়’ নাটক বন্ধের কথা বলেছিলেন থানার ওই কর্মকর্তা। “উনি কেন এখানে ওই নাটক বাদ দিয়ে বাকিগুলো করতে বললো, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। কিন্তু মনে হলো, উনি কোথাও থেকে কোনও নির্দেশনা পেয়ে এরকম একটি মন্তব্য করছেন।”

    তিনি জানান, সবগুলো দল মিলে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু একটি দলকে বাদ দিয়ে বাকিরা অংশগ্রহণ করবে, “এই ভাবনা আমাদের মাঝে কাজ করবে না।”

    উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ জানান, তাদের টিম রমনা থানা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বেশ কয়েকজনের একটি ‘মব’ থানায় ঢুকে এবং ধমক-টমক দিয়ে গালাগালসহ মহিলা সমিতির কর্মকর্তাকে উৎসব বন্ধ করার জন্য চাপ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলা সমিতি “ভয় পেয়ে গেছে। তাই তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতেই হল বরাদ্দ বাতিল করে,” তিনি যোগ করেন।

    তবে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধের সঙ্গে পুলিশের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

    ”ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে উক্ত নাট্যোৎসব বন্ধ করা বা স্থগিত করা সম্পর্কে কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। যেকোন ধরনের সৃজনশীল ও শৈল্পিক কর্মকাণ্ডকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করে থাকি। কী কারনে আলোচ্য নাট্যোৎসব স্থগিত হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। উক্ত নাট্যোৎসব ঘিরে যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিএমপি তৎপর রয়েছে”, বলা হয়েছে পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে।

    ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদ আরও জানায়, গতকাল রাতেই কে বা কারা অন্ধকারে মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়ন থেকে উৎসবের সকল সাজসজ্জা খুলে নিয়ে যায়।

    তার মতে, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কয়েক মাস আগে একটি নাট্যদলের শো মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদে নাট্যকর্মীরা যখন সমাবেশ করছিল; তখন তারা ইটপাটকেল ঢিল ছুঁড়ে মারে নাট্যজন মামুনুর রশীদের গায়ে। সেসময় যারা নাট্যকর্মীদের উপর যারা হামলা করেছিল, আজকের ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে আমরা মনে করি।”

    এই ‘মব’ কারা, এ প্রশ্নের উত্তরে কামাল আহমেদ বলেন, “তাদের সরাসরি পরিচয় আমরা জানি না। তবে তাদের ওরকমই কথা যে এগুলো সব ফ্যাসিস্টদের কারখানা। সব ফ্যাসিস্টরা এক জায়গায় হয়েছে। এদের নাটক হবে না, বন্ধ করে দাও। সুরটা এরকমই।”

    এখানে উল্লেখ্য, এই ঘটনার বিষয়ে জানতে রমনা থানার ওসিকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেন্নি।

    চট্টগ্রামে আবৃত্তি সংগঠন প্রমা’র উৎসব বন্ধ

    শনিবার চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে আবৃত্তি সংগঠন প্রমার বসন্ত উৎসব হওয়ার কথা ছিল। এই মাঠের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।

    প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসানের সাথে বিবিসি বাংলা’র কথা হলে তিনি জানান, সিআরবিতে সারাদিনের অনুমতি ছিল তাদের।

    সেই অনুযায়ী শনিবার সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সকালের অধিবেশন হয়েছে। দুপুরের বিরতির পর পরবর্তী অধিবেশন তিনটায় শুরু করার কথা ছিল।

    মি. হাসান বলেন, “দেড়টা নাগাদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কল করে আয়োজকদেরকে জানানো হয়েছে, আমরা এটি করতে পারবো না। তারা আমাদের অনুমতি বাতিল করেছে।”

    করতে না পারার কারণ কী, জানতে পেরেছে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “সেরকম কিছু তারা জানায়নি। তারা চট করে মানা করায় আমরাও একটু উৎকণ্ঠার মাঝে ছিলাম। তাই আমরা তাদের মৌখিক কথায়ই বেরিয়ে গেছি। পরে একটি লিখিত চিঠি পাঠিয়েছিলো তারা। কিন্তু তখন আমরা কেউ সেখানে ছিলাম না। আমরা কোনও ঝামেলায়ই যেতে চাইনি।”

    উত্তরার বসন্ত উৎসব নিয়ে যা হয়েছিলো

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং মহানগর পুলিশ থেকে অনুমতি নেওয়ার পরও উত্তরায় বসন্ত উৎসব করতে পারেনি ‘জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষৎ’।

    জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষৎ-এর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ইমন নামের একজন ছেলের নেতৃত্বে স্থানীয়রা অনুষ্ঠানে বাধা দেয়।

    “তাদের প্রথম সমস্যা হল, মঞ্চের নাম ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’ না দিয়ে ‘মীর মুগ্ধ মঞ্চ’ রাখতে হবে। যখন তাদের দাবি মেনে নেয়া হলো…তখন বললো, এখানের আয়োজকদের তাদের পছন্দ না।”

    তিনি জানান, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি রাতেই সেখানে “সাউন্ড সিস্টেম চলে এসেছে। আমরা ছায়ানট থেকে বহু আগে মাইক ভাড়া করেছি। আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয় সাড়ে সাতটায়। সব তো রাতে সাজাতে হয়। কিন্তু তখন তারা বাধা দিল। রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের সাথে বাহাস চলেছে।”

    “এখানে অনেক বাচ্চারা অংশগ্রহণ করবে। আমি বাচ্চাদের দায়দায়িত্ব নিতে পারলে অনুষ্ঠান স্থগিত করতাম না। স্থানীয়দের ওপর ওই দায়িত্ব দিতে পারিনি,” যোগ করেন তিনি।

    তবে এই ঘটনায় ‘জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষৎ’ থানায় কোনও অভিযোগ করেনি।

    উল্লেখ্য, যে ব্যক্তির নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে, তিনি “জাতীয় নাগরিক কমিটি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও সদস্য” বলে পরিচয় দিয়েছেন।

    এই ঘটনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির উত্তরা জোন।

    নাগরিক কমিটির উত্তরা জোনের পক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনও ধরনের অনুষ্ঠান বাতিলের ক্ষমতা রাখে না এবং এ ধরনের ক্ষমতা ব্যবহারের যে সংস্কৃতি রয়েছে তা পুরোপুরি ভাঙতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেইসাথে, সকল ধরনের নাগরিক সংগঠন যার মধ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও পড়ে, আমরা তাদের সব ধরনের সাহায্য করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই।”

    বন্ধ হওয়া লালন স্মরণোৎসবের নতুন তারিখ

    হেফাজতে ইসলাম ও কওমী ওলামা পরিষদের নেতাকর্মীদের আপত্তির মুখে স্থগিত হওয়া টাঙ্গাইলের মধুপুরে লালন স্মরণোৎসবের তারিখ সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানটির আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও মো. সবুজ মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি (রবিবার) মধুপুর অডিটরিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    এর আগে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে লালন স্মরণোৎসব হওয়ার কথা ছিলো।

    সবুজ মিয়া বলেন, “হেফাজত জানিয়েছে, আমরা উৎসব করলে তারা বাধা দিবো না। তখন আমরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমরা কোনও আপত্তিকর বক্তব্য দিবো না বা ওইরকম সংগীতও পরিবেশন করবো না।”

    ঘটনার দিনও এ নিয়ে প্রতিবেদন করে বিবিসি বাংলা। তখন সবুজ মিয়া বলেছিলেন, “ইসলামপন্থী কিছু দল, যেমন- হেফাজতে ইসলাম, কওমী ওলামা পরিষদ…এরা বাধা দিয়েছিলো।”

    “ইউএনও’র কাছে লালনের গান নিয়ে সমালোচনামূলক কোনও লেখার স্ক্রিনশট দিয়েছিলো। বলেছিলো, এই ধরনের মতবাদ শিরক বা কুফরী, যা আমরা মধুপুরে চলতে দিবো না।”

    সেদিন মধুপুর থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমরানুল করিমও জানিয়েছেন যে রাতে লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত শেষ পর্যন্ত হয়নি।

    এগুলো কেন থামানো যাচ্ছে না?

    একের পর এক এভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন নাগরিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই উৎসব বন্ধের খবরগুলো শেয়ার করে সরকারের সমালোচনা করছে।

    এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। ধারাবাহিক ঘটনা।”

    বর্ষবরণ উৎসব বা লালন উৎসব এই ভূখণ্ডের ঐতিহ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এগুলোর সাথে আমাদের আইডেন্টিটি জড়িত। এগুলোকে স্রেফ গান-বাজনা হিসাবে দেখলে হবে না।

    “যা ঘটছে, তা অপরিকল্পিত বা অরাজনৈতিক না। একটি বিশেষ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এগুলো করছে। অথচ কারা করছে, কী প্রক্রিয়ায় করছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনও বক্তব্য এবং পদক্ষেপ নাই।”

    তিনি মনে করেন, “রাষ্ট্রীয় বক্তব্য যে নাই, এটিও রাজনীতির-ই অংশ। সরকার কোন জায়গায় কথা বলছে, কোন জায়গায় কথা বলছে না; সরকার কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না; এগুলো সরকারের আদর্শিক রাজনীতি।”

    এখানে সরকারের “পৃষ্ঠপোষকতা, সংশ্লিষ্টতা এবং আস্কারা” স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেই ধরনের হুমকি, অনুষ্ঠান বন্ধ, এগুলো অন্তত তিন মাস ধরে চলছে।”

    তার মতে, এইসব অনুষ্ঠান বন্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত।

    Share. Facebook WhatsApp Copy Link
    Previous Articleতিন চাঁদাবাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে আটক করায় এসআই আবু সাঈদ ক্লোজ
    Next Article শাহ আবদুল করিম-এর জন্মদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি
    JoyBangla Editor

    Related Posts

    লন্ডনে ত্রয়োদশ ‘বাংলাদেশ বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব’ আগামী ১৪ ও ১৫   সেপ্টেম্বর

    June 30, 2025

    মনজু ইসলামের উপন্যাস ‘গডজিলা এন্ড বার্ড সং’ এর প্রকাশনা লন্ডনে অনুষ্ঠিত

    June 23, 2025

    লন্ডনে শিল্পী তারেক আমিনের একক চিত্র প্রদর্শনী চলছে

    June 23, 2025

    আলোর দিশারী সুফিয়া কামালের ১১৪তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

    June 20, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সম্পাদকের পছন্দ

    ইউনুস মাস্ট গো. . .

    July 1, 2025

    বিজয় সরণিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

    June 30, 2025

    পদ্মাসেতু নিয়ে সবার মন্তব্য ভুল প্রমাণিত করেছিলেন শেখ হাসিনা

    June 28, 2025

    পারমানবিক যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ

    June 28, 2025
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • TikTok
    মিস করবেন না
    Bangladesh

    মুরাদনগরের লজ্জা: ধর্ষক ধর্ষকই, নেই অন্য পরিচয়

    By JoyBangla EditorJuly 1, 20250

    ।। কবির য়াহমদ।। কে কোথায় কোন ‘মাফিয়া বাহিনী’ দ্বারা আশ্রিত বা পুনর্বাসিত, এসব দাবি-প্রচারণা ধর্ষকের…

    মঈনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (ESTD-১৯২৮) প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর ব্যতিক্রমী প্রশংসনীয় উদ্যোগ

    July 1, 2025

    আসিফ মাহমুদ সজীবের যত কাণ্ড

    July 1, 2025

    ইউনুস মাস্ট গো. . .

    July 1, 2025

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    About Us
    About Us

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে দেশ ও বিদেশের খবর পাঠকের কাছে দুত পৌছে দিতে জয় বাংলা অঙ্গিকার বদ্ধ। তাৎক্ষণিক সংবাদ শিরোনাম ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেতে জয় বাংলা অনলাইন এর সঙ্গে থাকুন পতিদিন।

    Email Us: info@joybangla.co.uk

    Our Picks

    ইউনুস মাস্ট গো. . .

    July 1, 2025

    বিজয় সরণিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

    June 30, 2025

    পদ্মাসেতু নিয়ে সবার মন্তব্য ভুল প্রমাণিত করেছিলেন শেখ হাসিনা

    June 28, 2025

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.