বিশ্বাস আর আদর্শের জায়গা থেকে ষোলকলা পূর্ণের পথে ড: ইউনুসের

।। মো. হরমুজ আলী।।
এইমাত্র দেখলাম প্রথম আলো নিউজ করেছে যে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে। তা হতেই পারে, কারণ আমরা মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করতে না পারলেও ক্ষমতা পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রথম যে কাজটি করি তাহলো নাম পরিবর্তন! যদিও এই সরকার এব্যাপারে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাতেও আমার আপত্তি ছিলোনা, কিন্তু সেই নামকরণ যদি তিরিশ লক্ষ শহীদ এবং তাদের পরিবারকে অপমানিত করার মানসে হয় কিংবা সেই সম্ভ্রমহারা বীরাঙ্গনা এবং তাদের উত্তরসূরীদের মনে করিয়ে দেবার জন্য হয় যে তোমাদেরকে যারা দলিতমথিত করেছিলো, আমরা তাদের সেই অপকর্মের দোসর আর আদর্শিক গুরুদের সন্মানিত করছি, তখনতো কথা থেকেই যায়!
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধার নামের জায়গায় যদি একজন রাজাকারের নাম বসিয়ে দেয়া হয় তাহলে বুঝতে হবে মুক্তিযুদ্ধ হেরে গেছে! হেরে গেছে তিরিশ লক্ষ শহীদ! হেরে গেছে দু’লক্ষ বীরাঙ্গনা মা-বোন! হেরে গেছে হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্ন-সাধ! হেরে গেছে বঙ্গীয় ব-দ্বীপের ৫৬ হাজার বর্গমাইল!
সেদিন দেখছিলাম, মুক্তিযুদ্ধে ড: ইউনুসের অংশগ্রহণ ছিলো, এটা প্রমাণ করার জন্য তার প্রেস সচিব, বহুল আলোচিত শফিকুল আলম ইনিয়েবিনিয়ে বলছেন যে তিনি নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লিফলেট প্রস্তুত থেকে বিলি পর্যন্ত করেছেন! তাহলে তো তার মনে থাকবার কথা যে কুখ্যাত শাহ আজিজ সেদিন পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করার জন্যে জাতিসংঘে গিয়েছিলেন!
ব্রাভো-ব্রাভো ড: ইউনুস! মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান, শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন আর আজ আপনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামকরণ করলেন তার নামে! না, কারো বিরুদ্ধেই আমার কোনো অভিযোগ নেই, না জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে না আপনার বিরুদ্ধে! শুধু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে জিগ্যেস করতাম – স্বাধীনতার নামে বাঙালিকে অসম্মান করে আপনার কী লাভ হলো! না, সে সুযোগও নেই, তার আগেই আপনাদের স্বগোত্রীয়রা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আপনাদের ভবিষ্যতকে নি:কণ্টক করে দিয়ে গেছে!
লন্ডন, ৫ মার্চ ২০২৫